অগ্নিযোদ্ধা
অভিষেক চৌধুরী
বইয়ের কথা :
একটু ইতিহাসের দিকে নজর রাখলেই আমরা দেখতে পাবো যুগে যুগে এমন বহু ব্যক্তিত্ব আমাদের আশেপাশেই জন্ম নিয়েছেন সেই সমাজে দাঁড়িয়ে যাদের সত্যিই প্রয়োজন ছিল। সে আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে হোক কিংবা রাজনৈতিক। যেমন দীর্ঘদিনের অপশাসনের অবসান করতে শত সিংহের সাহস নিয়ে শত্রুদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ। কিংবা ধর্মীয় হিংসার প্রতিবাদে উদারতার শিক্ষা দান করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। নিজের অস্তিত্বকেই ভুলে যেতে বসেছিল যেই জাতি তাঁদেরকেই বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একজন বাঙালি স্বামী বিবেকানন্দ।
এরকম ভাবেই স্বাধীনতার লড়াই এর সময় যখন দরকার পড়েছিল তখন দলে দলে তরুণ-তরুণীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই মহাযুদ্ধে। নিজেদের পরিবার, ভবিষ্যত এমনকি জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেছিল ভারত মায়ের চরণতলে। এই বইটির মধ্যমে সেই সকল বীরযোদ্ধাদের সন্মান জানানোর চেষ্টা করেছি যাদের জন্য হয়তো আজকে আমরা স্বাধীন একটা দেশে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
"অগ্নিযোদ্ধা" গল্প বলে এমন তিন বীরের যারা অনায়াসে মৃত্যুর সুম্মুখে দাঁড়াতেও একবার পর্যন্ত ভাবেনি। সর্বনাশা আগুন ছিল তাঁদের মনের ভেতরে, সেইজন্য তারা ফিরে আসে যতবারই এই দেশ তাঁদের আহ্বান জানায় নিজের প্রয়োজনে। মহাকাল এইসকল যোদ্ধাদের গচ্ছিত রাখে নিজ গর্ভে আবার সময় মত তাঁদের উগরে দেয়। এই গল্পের দ্বারা ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটা সফল হতে পেরেছি কারণ সেইসব মহামানবদের বীরত্ব গাঁথা বর্ণন করার মত শব্দ আমার ঝুলিতে নেই। তবুও যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে জোর হস্তে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এই বই কেবল ব্রিটিশযুগের কর্মকান্ডেই থেমে থাকে না সেইসাথে বর্তমান সময়েরও নানা দুর্নীতি ও সমাজের অবক্ষয়ের কথা তুলে ধরে; যা পাঠককুলকে ভাবতে বাধ্য করবে সেইযুগ থেকে আজ পর্যন্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক স্তরে আদৌ কি কোনো পরিবর্তন ঘটেছে? নাকি কেবল সাদা চমড়ার জায়গায় সেই স্থান দখল করেছে নিজেদেরই কিছু মানুষ।
---অভিষেক চৌধুরী
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি