বাংলার ধর্মীয় সংস্কৃতিতে হাতি
সৌভিক দে
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লিখেছিলেন যে বেদের আর্যগণ যখন ভারতে এসেছিলেন তাঁরা হাতি চিনতেন না। প্রাচীন ভারতের প্রায় সব যুদ্ধ-আখ্যানে এই প্রাণীর সবিশেষ উপস্থিতি সত্ত্বেও ঋগ্বেদে এর নাম এসেছে মাত্র দুইবার। জানা যায় হাতি সম্পর্কিত প্রথম আইনটি প্রণীত হয় কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে। এখনও পাণ্ডিত্য বোঝাতে আমরা ব্যবহার করি 'দিগগজ' শব্দটি। কিন্তু হাল আমলে যে বাঙালির গণেশপুজো নিয়ে এত বিতর্ক তার ধর্মীয় সংস্কৃতিতে হাতির স্থান কতটুকু? একমাত্র বাংলায় বিশ্বকর্মার বাহন হাতি। কারণ কী? করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী জগদ্ধাত্রী কী বৌদ্ধগণের পরাজয়ের সূচক? নানা দৃষ্টিকোণ থেকে এবং রূপভেদে হাতির গুরুত্ব এবং অবস্থান আলোচিত হয়েছে।
লেখক পরিচিতি :
সৌভিক দে-র জন্ম ১৯৭৯ সালের মে মাসে, কলকাতায়। এই শহরের পাঠভবনে পড়াশোনা, সরকারি আর্ট কলেজে শিল্পকলা শিক্ষা গ্রহণ। কর্ম-জীবনের প্রথম দিকে প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছিলেন আনন্দ পাবলিশার্স এবং 'আনন্দমেলা' ইত্যাদিতে। বর্তমানে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের শিল্পকলা বিভাগের শিক্ষক। শুরুর দিকে কবিতা লিখলেও পরবর্তীতে প্রবন্ধ রচনায় তিনি মনোনিবেশ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ- সাধক কবির জীবন ও সঙ্গীত (রামপ্রসাদ সেন বিষয়ক), জগন্নাথের ক্রমবিকাশ ও চৈতন্য বৃত্তান্ত, দেবী দুর্গার উৎস সন্ধানে পুরাণকাল থেকে সমকাল ও সুকুমারচরিত (সুকুমার রায় বিষয়ক), বঙ্গ সংস্কৃতিতে কালী। বইদেশিক থেকে প্রকাশিত অন্য বই তর্কে বিতর্কে বিশ্বনাথ ও তারকনাথ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি