বিভাবরী ত্রাস
গৌউর দে
বইয়ের কথা :
বাহ্যিক জগতের বাইরেও যে আরও একটা জগত রয়েছে তা কিন্তু বলাইবাহুল্য। আর সেটা হল প্রেত জগত। যার মূল ভিত্তি প্রেতাত্মা এবং ভয়, এই দুই'য়ের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠে প্রতিটি ভৌতিক কাহিনী প্রেক্ষাপট। এই জগতকে শুধুমাত্র অনুভবের দ্বারা অনুধাবিত করা সম্ভব, যদিও সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ বিষয়। তবে এই বিষয়টি সবার না হলেও বেশি সংখ্যক মানুষেরই বোধগম্যের বাইরে। তাই এই বিষয়ে অনেক ধরনের মতামত উঠে আসা সত্বেও বিশেষ তর্ক বা বিতর্কে না যাওয়াটাই শ্রেয়। তথাপি, কোনও এক অজানা উত্তেজনা রয়েই যায় আমাদের মনের মধ্যে। কী সেই প্রেত জগত? কী-ই-বা রয়েছে সেখানে? আর কেনই বা তা মনুষ্য জগতের বাইরে? সেই সব উত্তেজনার ফল স্বরূপ যা কিছু অজানা অঘটন কখনো কখনো আমাদের জীবনে ঘটে যায়, যার দায়ভার কিন্তু কখনোই বাহ্যিক জগতের উপর বর্তায় না। অনুভূতি এবং অনুভব এমন এক জিনিস যা মানুষ ক্রমশই প্রেত জগতের দিকে ধীরে ধীরে আকৃষ্ট হতে থাকে। তবে সেটা যাইহোক, এই সংকলনটিতে অপার্থিব জগতের প্রেতপুরী সম্বন্ধে বিষদে বিবরণ দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও যৎকিঞ্চিত অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি, তা প্রতিটি কাহিনীর ছত্রে ছত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যথাসাধ্য। সুতরাং, সংকলনটিতে যদি অনিচ্ছাকৃত যে কোনও প্রকার ভুল ভ্রান্তি থাকে, আপনারা নিজগুনে তা ক্ষমা করবেন এই আশা রাখি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি