উপন্যাসটা হাতে নেওয়ার পর সত্যি বলতে সময়ের হিসেবই হারিয়ে ফেলেছিলাম। শুরু থেকে শেষ—একটানা টানটান উত্তেজনা। লেখকের ভাষা এত সরল, অথচ এত স্বাদে ভরা যে পড়তে পড়তেই মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দৃশ্যগুলো জীবন্ত হয়ে উঠছে। ভৌতিক আবহের মধ্যে সমাজের অসহায়ত্ব, অন্যায়ের চাপা কান্না আর মানুষের লুকোনো ক্রোধ—সবকিছুই এমনভাবে মিশে গেছে যে গল্পটা কেবল গল্প থাকে না, যেন এক তীব্র প্রতিবাদী চিত্রকাব্য। গভীর অনুভব, সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ আর বেদনার সুর—সব মিলিয়ে উপন্যাসটি সত্যিই অসাধারণ। শেষ পাতা পর্যন্ত পাঠককে ধরে রাখার মতো শক্তি খুব কম লেখার থাকে, কিন্তু এই বইটি সেই বিরলদের মধ্যে অন্যতম।
উপন্যাসটি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলে থামা যায় না—পাতা উল্টে যায় নিজে নিজেই। ঘটনার বুনন এত নিখুঁত যে প্রতিটি দৃশ্য মনে হয় চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সহজ-স্বচ্ছ ভাষায় একের পর এক মুহূর্তকে লেখক যে মসৃণতায় ফুটিয়েছেন, তা পাঠককে গল্পের ভেতরে টেনে নিয়ে যায় অবলীলায়। ভৌতিকতার আবরণে সমাজের অন্যায়, অবহেলা ও চাপা ব্যথার যে সাহসী উচ্চারণ, তা নিছক গল্প নয়—একটি তীব্র প্রতিবাদী স্রোত। মানবিক বেদনা ও আতঙ্কের মিশেলে উপন্যাসটি এক বিরল অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে, যা পড়ার পরও দীর্ঘক্ষণ মনে গেঁথে থাকে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি