চৈতন্যে বধিবে কে!
রাজীব রায় গোস্বামী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 368
গাজি-বটতলার খাপ-পঞ্চায়েত উড়িয়ে দিয়ে হিঁদুর মেয়ে সরস্বতী বৈগার গর্ভকেশরে ঘুমিয়ে থাকে আবদুল সামাদের রেণু। আবদুলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতেই নিজের পেটের ভিতর কারও একটা নড়াচড়া অনুভব করে সরস্বতী বৈগা। কেন যেন, এক ‘মৃত্যু’র সামনে দাঁড়িয়ে সরস্বতীর আরও একজনের কথা মনে পড়ে যায়। দু-দিন আগেই রাধামাধব মন্দিরে খুন হয়েছেন যে মানুষটা। তিনিই একদিন তাকে বলেছিলেন, “মেয়ে তুই চৈতন্য মানে জানিস? কী করে বোঝাই... আচ্ছা, ধরে নে চৈতন্য মানে হল এক ধরনের চেতনা। শরীরের মরণ আছে, চেতনার মরণ নেই।” এইভাবেই উপাখ্যানের জায়গায় জায়গায় বেশ স্পষ্ট করে এই বার্তা রেখে যাওয়া হয় যে, ‘চৈতন্য মহাপ্রভু’ নাম্নী এক মহামানবকে গুম করলে কিংবা খুন করলেও কিন্তু ‘চৈতন্যে’র মৃত্যু নেই। তিনি শাশ্বত। তিনি অবিনশ্বর।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি