গ্রিমোরিয়াম ভেরাম
ভাষান্তর : প্রতিম দাস
'গ্রিমোরিয়াম ভেরাম' বইটির কিছু স্বকীয় বৈশিষ্ট্য -বইটি গুপ্ত বা গূঢ় রহস্যক্রিয়া এবং পদ্ধতি হাতে কলমে রূপায়ণের বিশদ বর্ণনা সম্বলিত। প্রায় প্রতিটি পদ্ধতিতেই প্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষত্ব হল এটি খ্রিস্টান ধর্মীয়দের জন্য লেখা হয়েছিল।
বশীকরণ , কালাজাদুর বিদেশী সংস্করণ বললে বিন্দুমাত্র ভুল হবে না এ বইকে । বলা হয় এর আসল লেখক এক প্রাচীন মিশরীয়। দ্য কেস অফ চার্লস ডেক্সটার ওয়ার্ল্ড পড়লে স্পষ্ট বোঝা যায় এই বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এইচ পি লাভক্র্যাফট স্বয়ং।
অনুবাদক লিখছেন ---
"গ্রিমোরিয়াম ভেরামের এটাই প্রথম পর্তুগিজ সংস্করণ। যা হিব্রু থেকে ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন জেসুইট প্লেনজিয়ার। নিশ্চিতভাবেই, এই বই ১৫৭১ সালে মিশরের আলিবেক দ্বারা লেখা হয়েছিল, যিনি সম্ভবত কোনও এক গুপ্ত জাদু সংগঠনের সদস্য ছিলেন। হোলি ইনকুইজিশনের আদালত তার এই গুপ্ত বিদ্যাচর্চাকে ভাল চোখে দেখবে না এবং সব কিছু নষ্ট করে দেবে এই ভয়ে উনি তাদের গুপ্ত জাদু সংগঠনে পালিত হতে থাকা নানান আচার প্রথা লিখে রাখেন। যা কিছু জাদুবিদের মতে, কিংবদন্তির রে সালোমাও বা রাজা সলোমনের গুপ্ত জ্ঞানের অংশ।
... বর্তমান সময়ে, এই সব গুপ্ত বিদ্যার কথা লিখে রাখাটাও চার্চের নিয়ম অনুসারে 'নিষিদ্ধ' কাজ। এর আসল উদ্দেশ্য এসব বিষয়ে গবেষকদের বিভ্রান্ত করা।
...এই পুস্তকের পাঠ্য অংশের চারটে ভাগ। প্রথম পুস্তক, যা উপলব্ধ আত্মার চুক্তি এবং বিশেষ চিহ্ন সম্বলিত সীলমোহর' (এই ধরণের ছবিকে যন্ত্র বলাও হয়ে থাকে বাংলা অনুবাদক) সম্পর্কিত বিষয় ব্যাখ্যা করে। দ্বিতীয় পুস্তক, যেখানে বিভিন্ন নারকীয় আত্মার ক্ষমতা নিয়ে কাজ করার পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। তৃতীয় পুস্তক, যা শয়তান বা দানবদের বিরুদ্ধে ব্যবহার যোগ্য মন্ত্র বা পদক্ষেপ বিষয়ে অবগত করে। সর্বশেষ অংশে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরণের প্রভাব অর্জন করার নানান জাদু পদ্ধতি। যেগুলো সম্ভবত, যে কেউ চেষ্টা করলেই নিজের বা পরের স্বার্থে ব্যবহার করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।"
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি