ইতি অমানিশা দ্বিতীয় খন্ড
জলজোনাকি
বাংলার প্রথম অলৌকিক তদন্ত সমিতি 'ডিটেকটিভস্ অফ সুপারন্যাচারাল'-এর তদন্ত কর্মকাণ্ড থেকে অংশবিশেষে অনুপ্রাণিত
----------------------------
কয়েক দশক আগে শহর কাঁপানো কিংবদন্তী বাংলা ব্যান্ড 'কলকাতা ড্রিম ব্লুজ'। সেই ব্যান্ডের মুখ্য গীতিকার, সুরকার এবং বাদক ততোধিক কিংবদন্তী প্রবাদপ্রতিম 'দ্য ডেভিলস গিটারিস্ট'। সে যখন কনসার্টে বাজায়, মনে হয় তাঁর আঙুলে ভর করেছে কোনো সাক্ষাৎ শয়তান। ভক্তদের উন্মাদনা বাঁধ মানে না।
এহেন শিল্পীরও একদিন ভুল হল বাজাতে। বন্ধ হল শো। বেরোনোর সময়ে ভক্তদের গালাগালি করল সে। তারপর সে হল এক ধর্ষণের অপরাধী।
সে কারাগারে দণ্ডিত ছিল, তারপর দশকের পর দশক সে কোথায় ছিল, কেউ জানত না। টালিগঞ্জের উড়ো খবর, শেষ বয়সে সে নাকি উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল।
সেই শয়তানের-বাদক -এর মৃতদেহ একদিন পাওয়া গেলো রেললাইনের উপর। দেহ কেটে পরপর চলে গেছে একাধিক ট্রেন।
সবই কি মানুষ করে, নাকি কেউ করায় তাঁকে দিয়ে?
দুই পুলিশ অফিসার;
একটি (?) প্রেতপ্রাপ্ত শিশু;
জীবনের প্রারম্ভকালে থাকা কয়েকজন সদ্য যুবকযুবতী – তাঁদের মিলেমিশে একাকার জীবন, কেরিয়ার, প্রেম, বন্ধুত্ব।
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন পোড়খাওয়া সম্পাদক, যার দুই চোখ ভরা স্বপ্ন চিত্র পরিচালনার।
কয়েকজন মানুষ, যাঁদের মুখের কথা বলে অস্ত্র।
কীসের অপেক্ষায় জীবন নিয়ে এখনো বিদ্যমান এক (?) অন্ধ মানুষ?
এক যুবক – নিশ্চুপ, নিরুত্তাপ। কী করতে চায় সে?
এক তৈরি না হওয়া সিনেমা;
এবং বাংলার একমাত্র অলৌকিক তদন্তকারী দল ‘ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল’।
এক কাহিনী, যেখানে মিলেমিশে যায় লোভ, ক্রোধ, মোহ, মিথ্যা, প্রেম এবং পাপ।
মহাকর্ষের কি ঠাসবুনোট খেলা – এই ‘কার্মা’ এবং ‘ডেস্টিনি’-র?
সমস্ত ঘটনা বিচ্ছিন্ন, তবু কোথাও কি জুড়ে থাকে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনসুতো? কারা যেন বলেছিল ‘বাটারফ্লাই এফেক্ট’?
এক কাহিনী আলো, ছবি, ছায়া এবং অন্ধকারের – যে শেষ পাতায় রেখে যায় শুধুই নিস্তব্ধতা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি