কলকাতার অজানা হেরিটেজ ২
আর্যভট্ট খান
প্রচ্ছদ - সপ্তদীপ দে সরকার
অযত্নে, অবহেলায় কলকাতা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এমন অনেক কিছু যার একসময় কলকাতায় ছিল উজ্জ্বল উপস্থিতি। কলকাতার কিছু জায়গার নাম শুনে মনে হয়, কেন এই জায়গার নাম এমন হল? যেমন দমদমের চিড়িয়ামোড়ে কি সত্যিই ছিল চিড়িয়াখানা? বিকে পাল অ্যাভিনিউতে বটকৃষ্ণ পালের বাড়ি গিয়ে জানা গেল কীভাবে তৈরি হয়েছিল ম্যালেরিয়ার মহৌষধ এডওয়ার্ড টনিক। আবার, গুমঘর লেনের জীর্ণ বাড়িগুলোতে গিয়ে মনে প্রশ্ন ওঠে, সত্যি কি মানুষকে এখানে গুম করে রাখা হত? অবহেলায় আজও পড়ে আছে সেই যন্ত্র যাতে দম দিলে দমকল ছুটে আসত। ভোজপুরি সিনেমা চলত যে হলগুলোতে, সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সেইসব সিনেমা হলে সিনেমা দেখার মজার অভিজ্ঞতা শোনা গেল কিছু মানুষের কাছে। ধর্মতলার পেন হাসপাতালে গিয়ে সোনার নিবের ঝরনা কলম দেখে মনে হল, এই কলম আজও পাওয়া যায় না কেন? কলকাতা শহরের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখা মেলে বাগবাজারের বসুবাড়ি থেকে এজেসি বোস রোডের ওপর ডিরোজিওর বাড়ি, এজরা স্ট্রিটের পারসিদের মন্দির থেকে হেদুয়ার গোবর গোহ-র আখড়া, যা অযত্নে, অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে। কিছু হেরিটেজ আবার কিছু হেরিটেজ নয়, কলকাতার এরকমই নানা জায়গা ছুঁয়ে দেখা অজানা গল্প আর আগে না দেখা সব ছবি আছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়, যা গুগল বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে সার্চ দিলে এত বিস্তারিত পাওয়া যাবে না। এইসব ঐতিহ্য চিরকালের মতো শহর থেকে হারিয়ে যাওয়ার আগে বইয়ের দুই মলাটের ভেতর লেখা ও ছবির মাধ্যমে ধরে রাখা হল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি