কলকাতার তলপেট : মস্তানির একাল সেকাল

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
সৌরভ গুহ

মূল্য
₹630.00 ₹700.00 -10%
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

কলকাতার তলপেট : মস্তানির একাল সেকাল 

সৌরভ গুহ 

প্রকাশক : ব্ল্যাকলেটার্স পাবলিশার্স 

চারের দশক এবং সাতের দশক। স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের এই দুই দশকের মাঝখানে বয়ে চলা সময়। ৩৭ বছরের রাজনীতি এবং সমাজের আঙিনায় ঘটে যাওয়া নানা বিশৃঙ্খলার আখ্যান এই বই। কিংবা সময়ের এক সমান্তরাল কাহিনি। রাজনীতির মঞ্চ পেরিয়ে, রাজনীতির কুশীলবদের পেরিয়ে আলো-আঁধারির গ্রিনরুম। কারা যেন দাঁড়িয়ে আছে। ওদের কেউ কেউ চেনা। কেউ বা আবছায়ায় অচেনা। কারও কারও গল্প সময়ের সীমা পেরিয়ে দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছে কলকাতার অলিগলিতে। এই বই সেইসব মৌখিক ইতিহাসকে ধরে রাখতে চেয়েছে অক্ষর মালায়। স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে ফেরা গল্প, যার সঙ্গে কলকাতা, বাংলার রাজনীতি, সংস্কৃতি, সেলিব্রিটি থেকে প্রভাবশালী নেতা, কমবেশি সকলে যুক্ত। এই আখ্যান প্রকাশ্য কলকাতার সমান্তরালে গোপনে হেঁটে যাওয়া আর এক কলকাতার গল্পও বটে।

এখন কলকাতা শহরে মস্তান নেই। না কি আরও বেশি কিছু আছে! এ নিয়ে তর্ক চলুক। কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় কলকাতায় সমান্তরাল ক্ষমতার আধার ছিল এই মস্তানতন্ত্র, যা কি না রাজনীতির সঙ্গে ছিল ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। রাজনীতি, জলসা, খেলার মাঠ, সর্বত্র ছিল মস্তানদের উপস্থিতি। ক্ষমতার সমান্তরাল আধার। সেই হারিয়ে যাওয়া সময়, আর হারিয়ে যাওয়া মস্তানদের কিসসা এই বই।

নতুন পাঠকদের জন্য বইয়ের কিছু অংশ তুলে দেওয়া হল : 

বিজয়গড়ের নিখিল

নিখিল মস্তানকে নিয়ে কত যে গল্প ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে! বিজয়গড়ের এই কংগ্রেসি বাহুবলীকে ঘিরেই বিজয়গড়ের কংগ্রেস আবর্তিত হতো। বিজয়গড়ে কংগ্রেস সংস্কৃতি ছিল। বড় কালী পুজো হত। নিখিল মস্তান ছিল স্বমহিমায়। প্রতি পাড়ায় দুজন করে মস্তান। অতি অস্থির এক অধ্যায়। তবে নিখিল বসু রায় সম্পর্কে বাইরের লোক যাই বলুক, বিজয়গড়ের মানুষ তাকে সমীহ করত। সিপিএমের চোখে সে ছিল ত্রাস। তবু বহু মানুষের কাছে ছিল ত্রাতা। পণ্ডিত দাসের মতে, নিখিলদা ছিলেন সূর্যের মতো।

ননী আইচ : মস্তান থেকে নকশাল কমান্ডার

নকশালবাড়ি রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য সবক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করেছিল। প্রভাবিত করেছিল মানুষের মনকেও। কিন্তু কুঁদঘাটের ননীর জীবনের উত্তরণ অন্য কারো মধ্যে দেখা যায় নি। কুঁদঘাটের মানুষ তাকে চিনত নকশালপন্থী বিপ্লবী হিসেবে। তার গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। ননী তখন মস্তান। চণ্ডীতলার মেয়েদের নিরাপত্তা দিত সে। পুলিশ, মিলিটারি সামনে এলে গুলি চালাত। কভার ফায়ার করে ননী একবার ২২ জনকে বের করে দেয়। ননীর প্রধান অস্ত্র ছিল গণভিত্তি। মানুষ ভালোবাসতেন ননীকে। ননী আইচের মৃত্যুর দিন বহু লোক ট্রাম ডিপোতে দীর্ঘক্ষণ বসেছিল। তারা দেখেন, ননী আইচের মৃতদেহ পুলিশ দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। মিলিটারি প্রহরায় দাহ করা হয়। দাহ করার সময় মিলিটারি অফিসার আর তার পুরো প্লাটুন মাথার টুপি নামিয়ে রেখেছিলেন।

জারবাতি : কলকাতার চাইনিজ ডন

কৃষ্ণ বাহাদুর নেপালি ওরফে জারবাতি। গোপাল পাঁঠার অস্ত্র সম্ভার সামলানোর দায়িত্বে ছিল জারবাতি। মধ্য কলকাতার আতঙ্কের অপর নাম ছিল এই চাইনিজ ডন। মলঙ্গার মিয়াঁ মস্তানদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয় এই ডন। পাঁচের দশকে এক গ্রীষ্মের দুপুরে বউবাজার এলাকায় শ্যামলাল নামে এক কালেক্টারকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জারবাতি। তার উদ্দেশ্য ছিল নিজের ডাকাত দল তৈরি করা, এবং তার জন্য চাই অর্থ সাহায্য। কিন্তু কীভাবে? শ্যামলাল গুপ্ত ছিল বাজারের বিল কালেক্টর। শিকারি যেন শিকারের সন্ধান পেয়ে গেল। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। পুলিশের তৎপরতা তুঙ্গে উঠল। দিন দুই পরে ধরা পড়ে জারবাতি। কলকাতার আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক ধূসর সেলিব্রিটি।

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি