কথান্তরিকা কিংবা কাটাজিভের ব্যা
অনির্বাণ ভট্টাচার্য
... অথবা মৃতভাষ
ট্র্যাকটেটাস শেষ করার পর সে-বইয়ের মুখবন্ধ লিখতে বসে প্রথম বাক্যেই বিটগেনস্টাইন এমন কথা পেড়েছিলেন, যে-কথা পাড়ার ও অন্তর্গত সমীক্ষণের মুরোদ জগতের খুব কম লোকেরই ছিল, আছে বা হবে। তিনি লিখেছিলেন যে, আমার এই বই সম্ভবত তাঁরই বোধগম্য হবে, যিনি ইতিমধ্যেই এই বইয়ের ভাবনাগুলি নিজেই ভেবে ফেলেছেন। এ-বই লেখার উদ্দেশ্য তখনই সিদ্ধ হবে, যখন এমন একজনকে পাওয়া যাবে, যিনি এক মেধাবী আনন্দে বইটি বুঝতে বুঝতে পড়বেন।
এমনতর কথা বলার দম ও স্পর্ধা এ-বান্দার নেই। থাকার কথাও নয়। কারণ সে খুব ভালো করেই জানে, কাঁচামালটাই যে রদ্দি। তাই কাটাজিভের ব্যা। সংশয় ও অনাস্থাকে জড়িয়ে নিয়ে এখানে হাঁটা হয়েছে সন্তর্পণে, এগোনোর চেয়ে পিছোতে হয়েছে বেশি, যতবার পিছনে ফেরা গেছে, ততবারই ধরা পড়েছে ভুলচুক। এ-বইতে যা করা হয়েছে, তা হল, রোজকেরে দর্শনের সঙ্গে রোজকেরে জীবনের সম্পর্ক বোনার চেষ্টা। সে-বুননের প্রচেষ্টায় যখন-তখন সুতো ছিঁড়েছে, দক্তি নড়েছে, নরাজ আলগা হয়েছে, শানা খেই হারিয়েছে। তারপর তালি মেরে, তাপ্পি সাঁটিয়ে, রং চড়িয়ে, চিন্তার সে-ঠকঠকিতে হয়তো-বা কিছু একটা দাঁড়িয়েছে। আর ওই আলম্বহীন 'হয়তো'-টুকুর ওপরই এ আমির যত-যা আস্থা।.......
--অনির্বাণ ভট্টাচার্য
পায়রাডাঙা, নদীয়া
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি