মালিনী, দ্রৌপদীর আরেক নাম
ডঃ মৃণাল কান্তি দাস
কৃষ্ণের যেমন অনেক অনেক নাম, আমার বইটির নায়িকা মালিনীরও অনেক নাম | সবাই অবশ্য দ্রৌপদী বা পাঞ্চালী বা কৃষ্ণা নামেই ওনাকে চেনেন ও জানেন | বেদব্যসের লেখা এই চরিত্রটি সাহিত্য বা নাট্য রসিকদের ছাড়াও সাধারণ জনগনকেও প্রচন্ড ভাবে আকর্ষণ করেছে যুগ যুগান্ত ধরে | আমিও সেই সাধারণ জনগনেরই একজন | আমি যতবার পড়েছি এই নায়িকাকে নিয়ে লেখাগুলোকে, প্রত্যেকবার নতুন করে তাঁর খোঁজ পেয়েছি | বেদব্যসের লেখার রসাস্বাদন করেছি বেশি করে, যখন তাঁর লেখার গুঢ় অর্থ অল্প হলেও কিছুটা বুঝতে পেরেছি বা বোঝার চেষ্টা করেছি | যাঁরা লেখেন, তাঁরা কিছুটা হলেও নিজের মনের মাধুরীতো মেশানই | আমিও তাই করেছি | জন্ম লগ্ন থেকে যে মেয়েটি অনেক সময় সমাজের উল্টো স্রোতে গিয়ে একাকী লড়াই করে, যুক্তি দিয়ে পরিবার, নিজের রাজ্য বা দেশের জন্য মালা গেঁথে গেঁথে সবার মঙ্গল সাধন করে গেছেন, আমি সেই শক্তি স্বরূপা মালিনীকে আমার অর্ঘ প্রদান করার ও সবার দৃষ্টিগোচর করার চেষ্টা করেছি | এই বইতে জানা যাবে কি করে দ্রুপদ কন্যা হলেন যাজ্ঞসেনী থেকে কৃষ্ণের সখী ও সর্ব বিদ্যায় পারদর্ষী, পাঁচ জনের সাথে বিয়ের নিহিত অর্থ, কেন বস্ত্রহরণ করেও অন্তরাত্মাকে স্পর্ষ করা বা দেখা যায় না, কেনই বা একে একে চলে যেতে হলো পান্ডবদের, মালিনীর দেহত্যাগের পর | এই ভাবনাগুলো চিরন্তন হলেও নতুন করে লেখার অপেক্ষা থাকে বৈকি |
আশা করি, মেঘ ঘনাচ্ছন্ন বর্তমান সময়ে এই মালিনী আমাদের নতুন করে শক্তি যোগাবে ও অনুপ্রাণিত করবে |
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি