পৃথিবীর যে-কোনও ভাষার স্তম্ভ হল ব্যাকরণ। ব্যাকরণ আমাদের জানতেই হয়। ব্যাকরণকে সঙ্গী করেই ভাষা এগোয়।
একালের মতো নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে সেকালেও শিক্ষার অঙ্গনে বহু বিদ্বজ্জনেরা পাঠ্যবই রচনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত সংস্কৃতাচ্ছন্ন বাংলা ব্যাকরণ কাঠিন্য সরিয়ে ফেলে সহজতার আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে।
সহজ করে বলার ক্ষেত্রে লেখক বিভূতিভূষণ অদ্বিতীয়। জীবনভর স্কুলে পড়িয়েছেন। ছাত্রদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই শিক্ষক বিভূতিভূষণ শিক্ষার্থীদের জন্য এই অভিনব বাঙলা ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
‘অভিনব বাঙলা ব্যাকরণ’ প্রকাশিত হয় ১৯৪০-এ। পাঠ্যবইয়ের ভাষার আড়ষ্টতা এ বইতে নেই। বইটি ছাত্রমহলে সেসময় যথেষ্ট সমাদৃতও হয়েছিল। কিন্তু সময়ের দাবি মেনে ‘অভিনব বাঙলা ব্যাকরণ’-এর প্রকাশনাও বন্ধ হয়েছে। তবে বিভূতিভূষণের মতো মহৎ স্রষ্টার কোনো সৃষ্টিকর্মই হারিয়ে যেতে পারে না। তাই আমাদের বিশ্বাস, নতুন রূপে প্রকাশিত বইটি হাতে পেয়ে বিভূতি-অনুরাগী মাত্রই পুলকিত শুধু নয়, রোমাঞ্চিতও হবেন।
সম্পাদনা এবং ভূমিকা - পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি