পরমেশ্বরী
প্রীতম দে
বইয়ের কথা :
পরাধীন ভারতবর্ষের সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত এই কাহিনি। বর্তমানে ‘বড়মা’ সর্বজনবিদিত। অর্থাৎ এই নামটির সাথে পরিচিত সকলেই। নবনির্মিত মন্দিরে, মায়ের নবনির্মিত কষ্টিপাথরের মূর্তিই হোক কিংবা দীপান্বিতা অমাবস্যায় বাইশ ফুটের মৃন্ময়ী দর্শনেই হোক, ভক্ত-ঢল নামে গঙ্গাপাড়ের নৈহাটীর অরবিন্দ সরণীতে, মায়ের কাছে। উপচে পড়ে মানুষের ভীড়। একাত্ম মনে সকলে জপে চলেন মায়ের নাম। এই ‘বড়মা’ আদিতে এই নামে পরিচিত ছিলেননা। ছিলেন ভিন্ন নামে। শতাব্দী প্রাচীন এই মাতৃপুজা শুরুর ইতিহাসের সাথে তৎকালীন বাংলার সমাজচিত্র, পারিবারিক কাঠামো, বাংলার সংস্কৃতি, ভক্তি-ভাব ও তথ্যমূলক মিশ্রনে এ কাহিনি লিখিত রূপের প্রকাশ ‘পরমেশ্বরী’ -তে। ব্রিটিশ শাসিত তৎকালীন সমাজ উচ্চ-নীচ, জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ও গোঁড়ামির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্বরূপ। কিন্তু ভুবনেশ্বরীর কাছে যে কোনোকিছুরই কোনো ভেদাভেদ, বেড়াজাল, বৈষম্যতাই খাটেনা। তিনি যে এক এবং অভিন্ন। তিনি পরম সত্তা থেকে উদ্ভুত পরমেশ্বরী মা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি