সত্যি রূপকথা
সভ্যতা, উন্নয়ন ও ওড়িশার এক উপজাতির জীবনসংগ্রাম
পরিমল ভট্টাচার্য
পূর্বঘাট পর্বতমালায় নিয়মগিরি নামে এক আশ্চর্য পাহাড়, সেখানে বাস করে এক বর্ণময় 'আদিম' উপজাতি। এই পাহাড় তাদের দেবতা, অন্নদাতাও। একদিন এল এক বহুজাতিক খনি কোম্পানি, বক্সাইটের খাদান খোঁড়ার তোড়জোড় শুরু করল পাহাড়ের মাথায়। উপজাতি মানুষেরা বাধা দিল, শুরু হল লড়াই- টিকে থাকার, নিয়মগিরির অতুলন জীব-বৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার। এই অদ্ভুত অসম লড়াইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বে, গড়ে উঠল জনমত, এবং খননকাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক।
এ যেন এক রূপকথা, সত্যি রূপকথা, যার শেষ লাইন লেখা হয়নি এখনও।
এই রূপকথার টানে ওড়িশায় গিয়ে লেখক আবিষ্কার করলেন- নিয়মগিরির ঘটনা আসলে একটি বড়ো কাহিনির অংশ, যা শুরু হয়েছিল সিকি শতক আগে, পরিকথা লোকবিশ্বাস আর অপার ভেষজ-বৈচিত্রা জমিয়ে তৈরি একটি পাহাড়ে। নাম তার গন্ধমাদন। এ হল প্রকৃতির মাঝে মানুষের বেঁচে থাকার কাহিনি, লড়াইয়ের কাহিনি, উন্নয়নের রথের নীচে অসংখ্য জীবনধারা গুঁড়িয়ে যাবার কাহিনি। হীরাকুদ থেকে শুরু হয়ে কলিঙ্গনগর কাশীপুর ঢিন্ধিয়া হয়ে রথের পথ থমকে দাঁড়িয়েছে একটি খাদের মুখে কাকে বলব সভ্যতা?
সেই পথের পাঁচালি এই বই।
-------------------------
Deep in western Odisha, upon a magic mountain named Niyamgiri, a colourful ‘primitive’ tribe is locked in a fairy-tale battle against a giant mining company – to save their god, their homeland and its unique biodiversity. Enchanted by the tale, the author journeyed there to find that this is part of a larger story of struggle and resistance, of age-old ways of life being crushed under the juggernaut of ‘development’. The path of this juggernaut leads to a blind wall. The writing on the wall is: HAVE WE REACHED THE END OF A CIVILIZATION?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি