ষোলোকলাম
অনির্বাণ ভট্টাচার্য
এ বইয়ের দুটি ভাগ। একটিতে প্রবন্ধ, অন্যটিতে সাক্ষাৎকার। তবে এই দুই ভাগ মিলেমিশে থাকে। অর্থাৎ তারা ষোলোকলাম নামক এই ঘাটে, একই সঙ্গে জল খায়। প্রবন্ধ ও সাক্ষাৎকার, উভয়েরই সংখ্যা আট। এক সঙ্গে জুড়ে নিলে দাঁড়ায় এই যোলোকলাম। লেখাগুলি ইতিহাস নিয়ে কথা বলে, ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে আরও স্পষ্ট করে বললে। ভাবতে চায়, ব্যক্তি ও সমাজ কী রূপ সে অন্য 'কার্যক্রম' বা আরো বৃহত্তর ভাবে এ সময়ের সঙ্গে নেগোশিয়েট করছে। আদৌ করছে? লেখাগুলি যেমন বুঝে নিতে চায় 'বিগ ব্রাদার'-এর সর্বগ্রাসী ছায়া ঠেকাতে কোন অন্য স্বর উঠে আসতে প্রত্যয়ী। তেমনই লেখাগুলি প্রয়াসী নিজের অন্তর হাতড়ে দেখতেও। অন্তরে যে অন্য সুর খেলা করে যায়, সেটিকে বুঝতে চায় এই লেখাসমূহ। যা 'প্রিচ' করা হচ্ছে, তা কাগজ-কলম ছাড়িয়ে কী ভাবে 'প্র্যাক্টিস'-ও করা যায়, সে চেষ্টায়ও ব্রতী লেখক। বেশ কিছু প্রবন্ধ ও সাক্ষাৎকার অতএব একটি কথাই বলে চলে, নানা সুরে। কারণ, অনবরত মন্ত্র আউড়ে না গেলে যে বিপদ বা গতভাঙা ভাবনা আত্মস্থ হয় না!
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি