সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
চণ্ডী মুখোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অঙ্গসজ্জা : শুভদীপ সেনশর্মা
চলচ্চিত্র গ্রন্থমালা সিরিজ ১১
সদা কর্মচঞ্চল মানুষটিকে ভেতরে ভেতরে ক্লান্ত করছিল টানা লকডাউন? কিন্তু ক্লান্ত হওয়ার মানুষ নন তো তিনি। তাই গৃহবন্দি থেকেও ক্রমেও আরো আরও মনের দরজা খুলে দিতে চাইছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পড়ার ঘর থেকে পাওয়া গেল এক ডায়েরি। যেখানে রয়েছে ছোটো ছোটো গদ্য, কবিতা এবং আঁকা ছবি। বোঝা যায় লকডাউন তাঁকে মনের দিক থেকে আটকাতে পারেনি। বরং সদা সৃষ্টিশীল সৌমিত্রকে আরও আরও অন্তরমুখি করে তুলেছিল। রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে ছবি আঁকা শুরু করেন। সৌমিত্রর একান্ত আপন হলেন রবীন্দ্রনাথ। এ কথাও তো মাঝে মধ্যেই বলতেন যে, রবীন্দ্রনাথ আমার শেষ আশ্রয়। ইদানিং মৃত্যু চেতনাও আসছিল তাঁর মধ্যে। আশেপাশের চেনা জানা মানুষের একের পর এক মৃত্যু তাঁর মনে নিয়ে আসছিল বিষণ্ণতা। বাড়িতে একমাত্র নাতি এক দুর্ঘটনায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে এখন তাঁর বাড়িতে শয্যাশায়ী। অর্থের প্রযোজনটা ভীষণভাবে তাড়িয়ে ফিরছিল তাঁকে। আর তাছাড়া চলচ্চিত্রে শুটিং, মঞ্চে অভিনয় তাঁর এক ধরনের প্রাণের আরাম। তাই লকডাউন সামান্য শিথিল হবার পরেই শুটিং শুরু হতেই ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়ান ৮৫ বছরের যুবক সৌমিত্র।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি