যুগের পর যুগ
দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
কিশোরদের জন্যে লেখা বটে, কিন্তু এই বই-তিনটি পড়ে প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকরাও বুঝবেন : কী ক্ষমতা ধরত দেবীপ্রসাদের কলম। মানুষ তখন কী ছেলেমানুষ শুরু হয় কিশোরদের উদ্দেশ করে; গোয়েন্দাগিরির জন্যে ডাক পড়ে তাদের। হালকা চালে শুরু হয় আদিম যুগ নিয়ে তদন্ত: 'পিস্তল? না, না, পিস্তলের দরকার পড়বে না। কেননা, যাদের ব্যাপার নিয়ে আমাদের এই তদন্ত তারা সবাই নেহাত নিরীহ আর ভালোমানুষের দল। আর তাছাড়া, তারা সবাই যে কতো, — কতো, — বছর আগে বেবাক মরে গিয়েছে তার হিসেব করতে করতেই দেখবে আমাদের মাথার চুল পেকে যাবার যোগাড় হবে। তাই পিস্তল নিয়ে সত্যি লাভ নেই। বরং পারো তো ট্যাঁকে একটা গাঁইতি ঝুলিয়ে নাও।' বইটির বিষয় তাহলে পুরাতত্ত্ব।
ইংল্যান্ড যাওয়ার পথে একবার জাহাজ থেকে নেমে মিশর ঘুরে এসেছিলেন দেবীপ্রসাদ। তাই রেমি! রেমি! মানুষের নামকরণ একই সঙ্গে ভ্রমণকাহিনী ও প্রাচীন ইতিহাসের ভূমিকা।
গদ্যরও যে নিজস্ব তাল আছে— অনেক গদ্যকারই তা বোঝেন না। দেবীপ্রসাদ বুঝতেন। পরিকল্পনার সময়ে তৃতীয় বইটির নাম ঠিক হয়েছিল 'হারাপ্পা চলো, হারাপ্পা পেরিয়ে'। কিন্তু তাল কেটে যাচ্ছে বলে সেটির নাম শেষে দাঁড়াল: হরপ্পা চলো, হরপ্পা পার হয়ে।
— রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, ভূমিকা
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি