২৪ নম্বর শ্যামানন্দ রোড
এলো নব্বইয়ের দশক। বিশ্বায়ন। ভরসন্ধেবেলায় কফিন ঢুকলো পাড়ায়
সবুজ মুখোপাধ্যায়
প্রথমেই পাঠকদের জন্য একটা বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ রাখা যাক-
২৪ নম্বর শ্যামানন্দ রোডের প্রথম পর্ব অর্থাৎ বিশ্বায়ন পূর্ববর্তী একটি পরিবার বইটি যাঁরা পড়েছেন তাঁদের জন্যই মূলতঃ সতর্কীকরণ।
প্রথম পর্বে বইটির যে নস্টালজিক এক 'চোরাসুখ' অনুভূত হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বে সেটি সম্ভবত পাঠকের হবে না। হবে না, কারণ যে নগ্ন সত্য বইটিতে লেখক তুলে ধরেছেন তা পড়তে পড়তে অস্বস্তিই হবে।
কী সেই নগ্নতা?
মানুষের সীমাহীন লোভের নগ্নতা....
আজ বাঙালি যে 'উন্নয়ন'- এর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। লেখক ২০১৬ সালের আগে সেই 'উন্নয়ন'-কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
একথা সত্য পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
কিন্তু কোন পরিবর্তন এবং কার স্বার্থে পরিবর্তন সেই প্রশ্ন জরুরি।
বিশ্বায়ন অবশ্যম্ভাবী। তাকে আটকানোর ক্ষমতা নেই। এ দুনিয়ায় সবচেয়ে, সবচেয়ে শক্তিশালী যদি কিছু থাকে তা হল পুঁজি। সেই পুঁজির বিকাশের জন্য বিশ্বায়ন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। নতুন বাজার, নতুন ক্রেতা...
পুঁজি নামক সেই সুপ্রীম পাওয়ারকে রুখবার শক্তি মানুষের ছিল না। কোনও মতাদর্শেরও ছিল না। তাই বামপন্থীদের কোর মিটিং-এ কোকোকোলার খাওয়ানো হবে কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ হলেও তাকে রুখবার শক্তি ছিল না।
যে দৈত্য একটু একটু করে বোতল থেকে বেরিয়ে আসছিল সেই দৈত্যকে চিনিয়ে দেয় এই বই। সে দৈত্য আসলে মানুষের লোভ....
সে দৈত্যকে নিয়ে কে একটু অস্বস্তিতে পড়তে হয় বৈকি....
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি