আহমদ শরীফ রচনা সমগ্র ১ম খন্ড
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির রূপ-স্বরূপ উন্মোচনে প্রবাদপ্রতিম পণ্ডিত, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী-দার্শনিক, মুক্তবুদ্ধি ও নির্মোহ চিত্তার ধারক-বাহক, নাস্তিক-দ্রোহী এবং অভিন্ন বাঙালিজাতিসয়ায় আস্থাশীল-দুই বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী আহমদ শরীফ। পণ্ডিত ও দার্শনিক এই মানুষটি সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনেই শুধু নয়– দেশ-কাল-সমাজ-রাষ্ট্রের, উপমহাদেশের এবং বহির্বিশ্বের অধিকাংশ ঘটনায় আমৃত্যু আলোড়িত হয়েছেন আর এসবের প্রতিক্রিয়া প্রকাশে তিনি অজস্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করে গেছেন। সমকালীন চিন্তাচেতনা এবং সে সম্পর্কে তাঁর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যযুগীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন সমকালের ইতিহাস, সংস্কৃতি, নিরন্ন মানুষ এবং সামাজিক বৈরিতার অন্তর্ভুক্ত। এভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মধ্য দিয়ে নতুন করে নির্মিত হয়েছে দেশীয় নিরন্ন ‘গতরখাটা মানুষের ইতিহাস’।
আহমদ শরীফের মোট মৌলিক বা চিন্তারক এবং মধ্যযুগের রচনার পাঠোদ্ধার ও সম্পাদনা-গ্রন্থের সংখ্যা ১০৩। তবু তাবৎ রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে কেবল মাত্র মৌলিক গ্রন্থগুলি, যেখানে মধ্যযুগের সাহিত্যের পুনরাবিষ্কার যাঁর হাতে সেই ‘জনগণের ইতিহাস নির্মাতা’র মধ্যযুগের পাঠোদ্ধারকৃত রচনাসম্ভার প্রকাশিত রচনাবলীতে স্থান পায়নি। কিন্তু একজন মানুষের মানসপ্রবাহ ও তাঁর গড়ন ধরা থাকে তাঁর ক্রমবিকশিত কৃতির মধ্যে সেকারণে মানসিক বিকাশ ও দেশীয় ঐতিহাসিক বিবর্তনের ধারায় তার সবটাই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত সমাজ ও কালিক বিচারের ক্ষেত্রে।
এই রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে তিনটি মৌলিক গ্রন্থ বিচিত চিন্তা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চিন্তা, স্বদেশ অন্বেষা এবং মধ্যযুগের পাঠোদ্ধারকৃত ও সম্পাদিত দুটি পুথি সাহিত্য লায়লী মজনু এবং বিদ্যাসুন্দর। দৈনিক সাপ্তাহিকে কলাম লিখেছেন প্রচুর এবং আমৃত্যুই লিখেছেন। বহু রচনা অগ্রন্থিত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সেসব একত্রে স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.