“—স্বরবৃত্ত ছন্দ—মাত্রাবৃত্ত ছন্দ—শার্দূলবিক্ৰীড়িত—এ-সব আমার কাছে এমন বুজরুকি বলে মনে হয়। বাংলা কবিতাও স্ক্যান করে—এমন বুজরুকি!
আমি : গদ্যেও তো কবিতা লেখা যায়, অনাথ—
উষা : মিলের জন্য মাথা ঘামাতে হবে না, ছন্দের কোনও ধার ধারতে হবে না, সেই রকম লিখলেই তো পারেন।
অনাথ আর-একটা বিড়ি বার করল। বিড়িটা আঙুলের ভিতর ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সে- দিকে তাকাতে-তাকাতে সেটা জ্বালাল না। পকেটে রেখে দিয়ে পকেটের থেকে খোয়া-যাওয়া চুরুটটা বের করে খানিকটা তামাকপাতার ছাই মেঝের ওপর ঝেড়ে ফেলতে-ফেলতে বলল—ও-রকম কবিতা আমার নভেলে মাঝে-মাঝে ঢুকে পড়ে বটে, কিন্তু, অজান্তে;—টের পেলেই কেটে ফেলি।
উষা : আপনার নভেলটার কী প্লট?
—প্লট-ফ্লটের আমি কোনও ধার ধারি না। গোর্কি-র মতো লিখি। বাস্তবিক, লেখে এই রাশিয়ানরা!
—টলস্টয়-এর নভেলগুলো বেশ—
—তার চেয়ে ডস্টয়েভস্কি-কে আমার ঢের বেশি ভালো লাগে।
—ডস্টয়েভস্কি-র আমি বিশেষ কিছুই পড়িনি। ঊষা বলল।
—সবচেয়ে আগে সেই লেখককেই পড়া উচিত, তাঁর বইগুলি। অনাথ বললে।
—কী পড়ব, বলুন তো?
—ইডিয়ট পড়ুন, ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট পড়ুন—ইডিয়ট-ই পড়ুন-না কেন—অনাথ উষার দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলল—পড়ুন—ইডিয়ট পড়ুন— ইডিয়ট—”
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.