আশাদির দেওয়া খাতাখানি
সম্পূর্ণা দেবী
আশাপূর্ণা দেবীর ছোটো বোন সম্পূর্ণা দেবী অল্প বয়সেই লেখার প্রতিভার পরিচয় দিলেও সংসারের তাড়নায় লেখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন, ক্ষোভে-বিতৃষ্ণায় একবার নিজের সমস্ত জমানো লেখা পুড়িয়ে ফেলেন। যাট বছর পেরিয়ে আশাপূর্ণার তাগিদেই লেখার জীবনে ফিরে আসেন-দিদির দেওয়া একটি খাতায়। 'আশাদির দেওয়া সেই খাতাখানি' থেকেই এই বই। খাতাখানি ভরিয়ে ফেলবার নির্দেশ পালন করলে খাতাটি পড়ে আশাপূর্ণা লেখেন:
ভাগ্যের প্রতিকূলতা যে কতকিছুই ব্যর্থ করে দিতে পারে, তোমার জীবনটা তার একটা প্রতীক। কোন নিষ্ঠুর গ্রহ যে চিরদিন তোমার সব দরজা বন্ধ করে রেখেছে। সেই দরজা ভেঙে এই খাতায় যখন সম্পূর্ণার আত্মপ্রকাশ, তখন আশাপূর্ণার অকপট স্বীকৃতি:
এখন একটি মনের পাপ ব্যক্ত করে ফেলছি-চিতুর মনোজগতের অনুভূতির যে সূক্ষ্ম কাব্যসুষমামণ্ডিত প্রকাশ তাতে মাঝে মাঝেই মনে হয়েছে-ইস এ লাইনগুলো আমি কেন লিখলাম না। ইস, এই সূক্ষ্মতায় আমি আসতে পারিনি আমার 'কখনো দিন কখনো রাতে'র রুচির আত্মবিশ্লেষণে। আশ্চর্য, তোমার
মনে তুমি লিখেছ, আমার মনে আমি, অথচ দুটো মন প্রায়ই একই ছবিতে ধরা পড়েছে।
এই 'খাতা' শেষ করার পর কয়েক বছরের মধ্যেই আত্মঘাতিনী হন সম্পূর্ণা দেবী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.