আয়ানের শ্রীরাধিকা : 'আমার বধুয়া আনবাড়ি যায়...'
রাজা ভট্টাচার্য
প্রচ্ছদ : রঞ্জন দত্ত
"বৈষ্ণব পদাবলী কে না পড়ে? আর কার না দীর্ঘশ্বাস পড়ে রাধার অনন্ত দুঃখের কথা ভেবে? কারো সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে সেই ক্লাস ইলেভেনে। ‘রাধার কী হৈল অন্তরে ব্যথা।’ আমাদের মতো গাঁ-গঞ্জের ছেলেপুলেদের তারও দরকার হত না। এ-বাড়ি ও-বাড়ি থেকে নিত্যি নিত্যি ভেসে আসত কীর্তন—‘কণ্টক গাড়ী কমল-সম পদতল, মঞ্জীর চীর-হি ঝাঁপি।’ রাধা যাবেন কৃষ্ণের অভিসারে, তারই প্রস্তুতির গান। যাঁদের সঙ্গে বৈষ্ণব ধর্মের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, তারাও চুপ করে শুনতেন—‘সুন্দরি কৈছে করবি অভিসার, হরি রহে মানস সুরধুনি পার।’
আচ্ছা, সত্যি করে বলুন দেখি, কেউ কখনও সেই মানুষটার কথা একবারও ভেবেছেন, যার পাশ থেকে উঠে রাধা অভিসারে যেতেন?
আয়ান। শ্রীরাধার স্বামী। বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্যে সে নপুংসক। নানা অর্বাচীন পুরাণে তার নানা রূপ, নানান অক্ষমতা।
কিন্তু যদি সে একজন অতি সাধারণ মানুষ হত? একজন সাদামাটা মানুষ, যে পরকীয়া প্রেমের তত্ত্ব বোঝে না, পরমাত্মা-জীবাত্মা বোঝে না...
যে শুধু নিজের স্ত্রীকে ভালোবেসে, তার ভালোবাসা পেয়ে সুখে থাকতে চায়? সারাদিন যমুনার তীরে গরু চরিয়ে সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরে বউয়ের হাসিমুখ দেখতে চায়?
আর... আরও ভয়ানক... সেও যদি সবার মতোই, অন্য সব গোপের মতোই... কৃষ্ণকে খুব ভালবাসে? তার বাঁশি শুনলে...
এইবার গল্পটা বড্ড বিপজ্জনক দিকে চলে যাচ্ছে, না?
সেই বিপজ্জনক গল্পটাই লিখেছি এবার। পড়ে ফেলুন সাহস করে।
আজ্ঞে হ্যাঁ, এই বই পড়তে সাহস লাগবে। হলফ করে বলতে পারি। "
--রাজা ভট্টাচার্য
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি