বৈয়াকরণসিদ্ধান্তকৌমুদী : অজন্তপুংল্লিঙ্গপ্রকরণ

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
Ashok Kumar Ponda

মূল্য
₹250.00
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

বৈয়াকরণসিদ্ধান্তকৌমুদী : অজন্তপুংল্লিঙ্গপ্রকরণ 

অশোক কুমার পণ্ডা 

ভূমিকা : 

প্রাণীকুলের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ। ইহা করণীয়, ইহা অকরণীয়-ইত্যাদি বিচার করার ক্ষমতা তাতে বিদ্যমান। এই বিভুপ্রদত্ত ক্ষমতার বলে মনের মধ্যে নির্ণীত স্বকীয় অভিপ্রায়ের তথা ব্যবহারের পরিপ্রকাশের জন্য সে যে উপায়টিকে অবলম্বন করে; তা হল ভাষা।' তাই ভাষাবিদগণ বলেন-

1. "Language is nothing, but a media by which one can express his thoughts to others."

2. A language is a system of arbitrary vocal symbols by means of which a society group co-operates.

3. A language is a system of arbitrary vocal symbols by means of

which members of a social group co-operate and interact.

4. Language may be defined as an arbitrary system of vocal symbols by means of which, human beings, as members of a social group and participants in culture interact and communicate.

5. Language is a Purely human and non-instinctive method of communicating ideas, emotions and desires by means of voluntarily produced symbols.

সকল প্রাণীগণের নীড়রূপ এই বিশ্বের সর্ব প্রাচীন ভাষা হল-সংস্কৃত। যে ভাষা সংস্কৃত, পরিষ্কৃত এবং দিব্যভাববিভাসিত তা হল-সংস্কৃত ভাষা।

১. এই 'ভাষা' শব্দটি 'ভাষ' (ভাষ ব্যক্তায়াং বাচি) ধাতু নিষ্পন্ন। বিগ্রহ বাক্যটি হল-ভাষ্যতে যয়া সা ভাষা।

২. ভোলানাথ তিওয়ারি কৃত 'তুলনাত্মক ভাষাবিজ্ঞান-গ্রন্থে উল্লিখিত। পৃ. ২।

৩. সংস্কৃতা ভাষা = সংস্কৃতভাষা। সম্যক্ কৃতৎ সংস্কৃতম্। সম্-কৃ ক্ত-সম্ সুট্ কৃ + ক্ত। এখানে 'সম্পরিভ্যাং করোতৌ ভূষণে (৬-১-১৩৬) সূত্রের দ্বারা ভূষণার্থে কৃ-ধাতুর সুড়াগম হয়েছে। কারণ, ভাষাও একটি ভূষণ। এই প্রসঙ্গে ভর্তৃহরির কারিকা প্রণিধানযোগ্য-

'কেয়ুরাণি ন ভূষয়ন্তি পুরুষং হারা ন চন্দ্রোজ্জ্বলা ন স্নানং ন বিলেপনং ন কুসুমং নালংকৃতা মূর্ধজাঃ। বাণ্যেকা সমলংকরোতি পুরুষং যা সংস্কৃতা ধার্যতে, ক্ষীয়ন্তে খলু ভূষণানি সততং বাগভূষণং ভূষণম্।।

ক্ষয়শীল পার্থিব ভূষণ থেকে অক্ষয় অব্যয় শাশ্বত অপার্থিব বাভূষণই উৎকর্ষ জ্ঞাপক প্রকৃত ভূষণ। বস্তুতঃ এর দ্বারাই মানুষ ভূষিত হয়। এই হল উদ্ধৃত শ্লোকের মর্ম। সুতরাং বাক্ ভূষণ হওয়ায় উক্ত সূত্রের দ্বারা সুড়াগম সিদ্ধ। 

মহাকবি দণ্ডী প্রণীত কাব্যাদর্শের প্রথম পরিচ্ছেদোক্ত 'সংস্কৃতং নাম দৈবী বাগন্বাখ্যাতা মহর্ষিভিঃ।'-শ্লোকাংশে যদিও একেই দেবভাষা বলা হয়েছে, তবুও এই ভাষা শুধু যক্ষ, রক্ষঃ (রাক্ষস) ও দেবতাদেরই ভাষা ছিল না; ছিল অন্যদেরও। রাজা, অমাত্য তথা ব্রাহ্মণগণ এই ভাষাতে কথোপকথন করতেন বলে নাটকাদি থেকে জানতে পারা যায়। সুতরাং এই ভাষাকে দেব, দানব তথা মানবের ভাষা বললেও কোন অত্যুক্তি হয় না। আরও জানা যায় যে, কর্ণাটক প্রদেশের 'মাতুর' নামক গ্রামটি হল-সংস্কৃত-গ্রাম। সেখানে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলে সংস্কৃত ভাষায় স্ব-স্ব অভিপ্রায় ব্যক্ত করে থাকেন।

বর্তমানে পৃথিবীপৃষ্ঠে পরিদৃশ্যমান ভাষাগুলির মধ্যে অনেক ভাষা সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন বলে ভাষাবিজ্ঞানবিদগণ মত প্রকাশ করে থাকেন। সুতরাং এই আমরী চামরী শ্রুতিমাধুরী গুণময়ী সুরভারতী তাদের সকলের জন্মদাত্রী জননী।

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

সংশ্লিষ্ট বই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি