উনিশ শতকে বিলেত-যাত্রা করেছেন এমন বাঙালির, এবং বাঙালি লেখকের সংখ্যা অপ্রতুল নয়। তা সত্ত্বেও বিলাতের পত্র স্পষ্ট স্বাতন্ত্রের দাবি রাখে, দুটি কারণে। এক, অধিকাংশ বাঙালি লেখক যখন বিলেতে পৌঁছেই তদ্গত হয়ে পড়েন, ওদেশে যা দেখেন তাই তাঁদের চোখে মহান মনে হয় আর স্বদেশের সব কিছুই পানসে ঠেকতে থাকে— সে সময় গিরিশচন্দ্র বসু ব্রিটেন ও ব্রিটনদের নিয়ে রীতিমত রঙ্গ-মশকরা করে গেছেন। ব্রিটিশ সিংহের কেশর চুপসানো সেসব রসিকতা করার সময় শাসিতের হীনম্মন্যতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কোথাও। দ্বিতীয়ত, গিরিশচন্দ্র বসু উদ্ভিদবিজ্ঞানী ছিলেন, বিলেত তিনি গিয়েছিলেন উদ্ভিদবিদ্যা অধ্যয়ন করতেই। কিন্তু তিনি এটা বেশ অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে ইংল্যান্ডে অধীত বিদ্যা প্রায়শই তাঁর স্বদেশে প্রযোজ্য নয়, সেখানকার জল-হাওয়া-জনসংখ্যা অন্যতর জ্ঞানের দাবি রাখে, আত্মমগ্ন এবং উপনিবেশবাদী ব্রিটিশদের পক্ষে যার তল পাওয়া সম্ভব নয়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.