চন্দ্রকেতুগড়ের লীলাবতী
কমলাকান্ত সেন
পন্ডিত বরাহ একাধারে জ্যোতির্বিদ, জ্যোতিষাচার্য, গাণিতজ্ঞ, বাস্তুকার-- বলা চলে সর্বগুণসম্পন্ন এক জ্ঞানীজন। তাঁর ঘরে জন্ম নিল এক শিশুপুত্র। পন্ডিত নবজাতকের ভাগ্য গণনা করে দেখলেন, তাঁর শিশুপুত্রের আয়ু মাত্র এক বৎসরকাল। তিনি তাঁর এই স্বল্পায়ু পুত্রকে একটি পাত্রে রেখে সাগরের জলে ভাসিয়ে দিলেন।
দীর্ঘ কুড়ি বৎসর বাদে এক যুবক তার নববধূকে সঙ্গে নিয়ে এসে জানাল, সে-ই বরাহের সন্তান। তবে কি বরাহের গণনা ভুল ছিল? সত্যিই কি সেই যুবক বরাহের সন্তান? এত বড় পন্ডিতের গণনা কি করে ভুল হতে পারে?
সঙ্গের নববধূটির নাম লীলাবতী। ডাকনাম খনা। খনা নিজেও জ্যোতিষশাস্ত্রে তুখোড়। শুরু হল পুত্রবধূ এবং শ্বশুরের রেষারেষি।
খনার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল। সম্রাট বিক্রমাদিত্য খনাকে রাজসভার দশম রত্ন করে নিলেন।
শ্বশুরের নাম-যশ-খ্যাতি কমতে লাগল। তিনি পুত্র মিহিরকে নির্দেশ দিলেন, খনার জিহ্বা কেটে ফেলার জন্য।
কী হয়েছিল খনার? কী কারণে জন্য যুদ্ধ লেগেছিল রাজা চন্দ্রকেতু এবং সম্রাট বিক্রমাদিত্যের মধ্যে? কীভাবে ধ্বংস হয়েছিল চন্দ্রকেতুগড়? উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপায় চন্দ্রকেতুগড়ের সেই ধ্বংসাবশেষ এখনো সাক্ষ্য বহন করে চলেছে...
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের খনার বচনগুলো এখনো গ্রামে গঞ্জে সাধারণ মানুষদের মুখে মুখে শোনা যায়। ইতিহাস এখনো ভোলেনি এই বিদুষী নারীকে।
ইতিহাস, কল্পনা, লোককাহিনী সমস্ত কিছু নিয়েই গড়ে উঠেছে এই রোমাঞ্চকর উপন্যাস। এই বই পড়তে শুরু করলে পাশে সরিয়ে রাখা যাবে না।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি