দার্জিলিং
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
প্রকাশক : কিংবদন্তি পাবলিশার্স
পরিবেশক : বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ
উপেন্দ্রকিশোর ভ্রমণপিপাসু ছিলেন, সেটির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাঁরই বিভিন্ন লেখা থেকে। বিশেষ করে পাহাড় ছিল তাঁর অতি প্রিয়। আর পাহাড় বলতেই আমাদের বাঙালিদের প্রথম মনে পড়ে দার্জিলিঙের কথা। এ-কথা প্রায় সকলেরই জানা, বাবার অতি প্রিয় জায়গা ছিল দার্জিলিং। শুধু বাবার কেন, আমাদের পরিবারের সকলেরই দার্জিলিং ছিল অন্যতম প্রিয় হলিডে ডেস্টিনেশন! এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ-বৃত্তান্তগুলো পড়তে বসলে এক নিমেষে চোখের সামনে ভেসে ওঠে শতবর্ষেরও আগের দার্জিলিং শহরটি। তার চেহারা কেমন ছিল, সে দেখবার সৌভাগ্য আমার-আপনার কারোরই হয়নি যেমন ঠিক, আবার একথাও ঠিক যে উপেন্দ্রকিশোরের এই লেখাগুলো পড়লে সে-খিদে অনেকটাই মিটে যায়। উপেন্দ্রকিশোর যখন এই লেখাগুলো লিখছেন তখন তাঁর বড়ছেলে, আমার ঠাকুরদা সুকুমার রায় নেহাতই শিশু। সে-তখন সাহেবদের তৈরি করা দেশলাই বাক্সের মতো খোপ-খোপ কামড়ার রেলগাড়ি দেখে বেজায় খুশি, কিছুটা অবাকও। 'তাতা' তাঁর ডাকনাম, উপেন্দ্রকিশোর সেই নামেই তাঁকে পাঠকদের চিনিয়েছেন এই লেখায়। একশো বছরেরও বেশি সময় আগে সেই দার্জিলিঙ শহরটির ভৌগলিক মেজাজ, তখনকার পাহাড়ি লোকজন, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, শহরের নানা দোকান-পাট-এসবই অসাধারণ ভাবে, রসিক ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন উপেন্দ্রকিশোর। এখন, উপেন্দ্রকিশোরের সেই লেখাগুলো এবং লেখার সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ছবি একত্র করে আমাদের 'বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ' থেকে প্রকাশিত হল 'দার্জিলিং' বইটি। গ্রন্থের শেষে পরিশেষ অংশে প্রাবন্ধিক প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত উপেন্দ্রকিশোরের দার্জিলিং প্রসঙ্গে একটি মনোগ্রাহী আলোচনাও লিখেছেন। পুরনো মেজাজ ফিরিয়ে আনতে বইটির চেহারাও আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি আদি স্টাইলই বজায় রাখার। -সন্দীপ রায়
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি