ধর্ম সংস্কৃতি ও রাজনীতি
ছিন্ন চিন্তার ককটেল
মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে.."
আজ যখন সারা দেশ জুড়ে ধর্মের বেশে কবে কি খাবো,কবে কি পরিধান করবো তা নির্ধারণ করার ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে ঠিক তখন রবি ঠাকুরের এই উক্তি যেমন মনে পড়ে,তেমনি এই অত্যন্ত কঠিন সময়ে ইতিহাস,সাহিত্য,সঙ্গীত,সমাজ ও বিবর্তনের ধারায় ও মানব সভ্যতায় তার প্রভাব এর তথ্যবহুল আলোচনার অভিমুখ তৈরি করেছেন লেখিকা মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর "ধর্ম সংস্কৃতি ও রাজনীতি ছিন্ন চিন্তার ককটেল" বইটিতে..
এই সময়ে বইটির প্রাসঙ্গিকতা প্রায় প্রতিটি অধ্যায়ে বারবার উঠে এসেছে..
বিবর্তনবাদ,বিজ্ঞান,ইতিহাসকে যখন রাষ্ট্র পদদলিত করতে চায়,ভুলিয়ে দিতে চায় তখনই লেখক-লেখিকারা তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা তাঁদের লেখনীর মাধ্যমেই তুলে ধরেছেন বারবার..
খাদ্যাভ্যাস থেকে পরিধান কারোর অঙ্গুলিহেলনে নয় তৈরি হয় সভ্যতার নিজস্ব নিয়মে আধুনিকতা ও প্রাসঙ্গিক সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে..
শুধুমাত্র তথ্যের ভারে বইটিকে তথ্যবহুল না করে লেখিকা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণের মাধ্যমে মানব সভ্যতার সঙ্গে সমাজ সংস্কৃতির যে মিশ্রণ বা ককটেল সেটাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর ঝরঝরে গদ্যের মাধ্যমে..
রাম-সীতা থেকে চার্বাক,পাণ্ডব-কুন্তী থেকে বেদ উপনিষদ,ধর্মের উদ্ভব থেকে ধর্মাচরণ এর সন্ধান করতে গিয়ে ঐক্যের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন সভ্যতা সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে পাথেয় করেই..
যুক্তিবাদী,বিজ্ঞান মনস্ক দৃষ্টিভঙ্গিতে এত সহজ ভাষা ও শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে সংকীর্ণতাকে জয় করে এভাবে ইতিহাস দর্শন খুব কম বইয়ে পাওয়া যায়..
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি