ধুলো পথের মায়া
সঞ্জয় কর্মকার
বইয়ের কথা:
জীবন আমাদের ভালবাসতে শেখায় ঠিক সমুদ্রের মত। শেখায় অহরহ মায়ায় জড়াতে। তবু সম্পর্কে আসে বিচ্ছেদ। জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের কেউ ফিরে আসে, কেউ বা ধুলো পথে মায়ার পদচিহ্ন রেখে কোনওদিনই আর ফেরে না। প্রেম হোক বা বন্ধুত্ব, অপত্যের প্রতি টান হোক বা জন্মদাতার প্রতি ভালবাসা, এ সবকিছু নিয়ে জারিত জীবন কখনও মসৃণ, কখনও বা কণ্টকাকীর্ণ। স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলেই মায়াসক্ত হয়ে পড়ে মানুষ। ধুলোর পরত সরিয়ে ফেললে এক এক করে হাতছানি দেয় ফেলে আসা পথ। দেশ, রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা ওয়েব, নবকল্লোল, কলকাতা পুরশ্রী, গল্প কুটির, অভিষিক্তা-র মত প্রথম শ্রেণীর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত এমনই৪৪৪ নানা পটভূমিতে লিখিত বাছাই করা সতেরটি গল্পের সংকলন এই ‘ধুলো পথের মায়া’।
লেখক পরিচিতি :
সঞ্জয় কর্মকারের জন্ম ১৫ আগস্ট। উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁকিনাড়ায়। স্ত্রী দীপান্বিতা ও ছেলে শ্রীদীপকে নিয়ে যৌথ পরিবারে বসবাস। স্নাতকোত্তর স্তরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া নিয়ে পড়াশোনা। বর্তমানে শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত। লেখালিখির সূচনা মূলত কিশোর বয়স থেকেই। ২০১২ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আনন্দমেলায় ছোটদের গল্প প্রকাশিত হলে সিরিয়াস লেখালিখির শুরু। এরপর গল্প, অণুগল্প, কবিতা, ছড়া, রম্যরচনা, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে- দেশ, রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা ওয়েব, আনন্দমেলা, নবকল্লোল, শুকতারা, কিশোর ভারতী, সন্দেশ, চিরসবুজ লেখা, বিচিত্র পত্র, কথাসাহিত্য, মাসিক বসুমতী, মাসিক কৃত্তিবাস, তথ্যকেন্দ্র, মৌচাক, দৈনিক স্টেটসম্যান, প্রসাদ, কলকাতা পুরশ্রী, অভিষিক্তা-র মত অসংখ্য প্রথম শ্রেণীর বাণিজ্যিক পত্র-পত্রিকায়। ইতিপূর্বে প্রকাশিত কিশোর গল্প সংকলন ‘ইচ্ছে ফুলের গন্ধ’ ও ‘আলো ছায়া রঙ’। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি লিখেছেন কয়েকটি স্কুলপাঠ্য বই ও সর্বশিক্ষা অভিযানের পুস্তিকা। বিগত দু’দশক ধরে নিরলস সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘চাতক’ পত্রিকার পক্ষ থেকে পেয়েছেন “টেগোর ভিলেজ সাহিত্য পুরস্কার ২০২০”। একেবারেই সাদামাটা আটপৌরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত লেখকের অন্যতম শখ বই পড়া এবং গান শোনা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি