মহাভারতে যে দ্রৌপদীকে মহর্ষি বেদব্যাস সৃষ্টি করেছিলেন, তিনি এক অতিমানবী। জীবনের প্রেক্ষাপটে সেই দ্রৌপদী যখন রক্তমাংসের সাধারণ মানবী হয়ে মহাকাব্যের পাতা থেকে জেগে উঠে তাঁর স্রষ্টা, জীবন, সমাজ এবং অপূর্ণ প্রেমের সামনে প্রশ্ন রাখেন, যখন নারীত্বের স্পর্ধা অতিক্রম করে আগুনপাখির মতো জ্বলন্ত ডানা ঝাপটে উড়ে চলেন তাঁর যন্ত্রণা, ব্যথা, নিঃস্বতার হাহাকার স্ফুলিঙ্গের মতো ঝরাতে ঝরাতে তখন মহাকাল তাঁর আলোর আঙুলে ভূর্জপত্রে লিখতে বসেন এই ভারতের অসংখ্য মানবীর গল্প স্বয়ম্ভূতা দ্রৌপদীর নামে। নারীহৃদয় থেকে উৎসারিত আলো-অন্ধকারের শোলক যে মহাকাব্য লেখে, অনন্তের বুকে বসে সে শোলক আউড়ে চলেন দ্রৌপদী স্বয়ং। শুধু কান পেতে থাকি আমরা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.