মাঝে মাঝে আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে বৈজ্ঞানিকভাবে, যুক্তি দিয়ে যার ব্যাখ্যা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ ঘটনাপ্রবাহগুলো যখন ঘটে তখন তা বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। এরকমই এক রোমহর্ষক ঘটনাবহুল উপন্যাস ‘হুতোমগড়ের হাতছানি’।
উপন্যাস শুরু হয় চারটে চরিত্রের জীবনের গল্প নিয়ে। কর্পোরেট সেক্টরে চাকুরিরতা মিতুল এবং সায়রের একমাত্র আদরের মেয়ে ঝিমলিকে নিয়ে আবর্তিত ওদের সুখের সংসার। সায়র পেশাগত দিক থেকে একজন কর্পোরেট জগতের লোক হলেও নেশাগত দিক দিয়ে একজন কন্টেন্ট রাইটার। তার সৃষ্ট অনেক লেখা নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েবসিরিজ। নিজের এমন সাফল্যের পর সায়র সিদ্ধান্ত নেয় কর্পোরেট জগতের চাকরিটা ছেড়ে কন্টেন্ট রাইটিংকেই সে নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করবে। সিদ্ধান্তটা মিতুলকে জানাতেই মিতুলের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় এবং রাগ করে মিতুল ঝিমলিকে নিয়ে তার মায়ের কাছে চলে যায়। সায়র হাজার চেষ্টা করেও মিতুলকে ফেরাতে ব্যর্থ হলে অবশেষে ঝিমলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে নিজের কাছে। তারপর কিছুটা মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেয় ধূলিগড়ে অপরদিকে সদ্য বিবাহিত ঋতজা ও বিহানও তাদের মধুচন্দ্রিমা উৎযাপনে উপস্থিত হয় ধূলিগড়ে। সেখানকার হেরিটেজ রাজবাড়িতে ওঠে চারজন। সারাদিন ভ্রমণ করে পুরোনো বনেদী জায়গাটার সৌন্দর্য উপভোগ করলেও রাতের দিকে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের সম্মুখীন হয় তারা। প্রচণ্ড ঝড় আর প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যায় ধূলিগড়ের প্রাচীন রাজবাড়ি। সকলে সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে রক্ষা পেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় বিহান ও ঝিমলি। জমিদার এস্টেটের জঙ্গলে হারিয়ে যায় তারা। ঝিমলির খোঁজে বেরিয়ে এক ভীষণ নৃশংস ও অস্বাভাবিক দৃশ্যের সম্মুখীন হয় সায়র ও ঋতজা। ঝিমলি নিজের সঙ্গে কোন অভিশপ্ত অতীত বহন করছে? মাত্র এক রাতে ঘটে যাওয়া অলৌকিক কিছু ঘটনাবলী কীভাবে বদলে দেবে উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্রের জীবন?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.