যুগাবতার রামকৃষ্ণ
রবিদাস সাহা রায়
'দুর্গাচরণ নাগ। পূর্ববঙ্গে বাড়ি। সাধুভক্ত মানুষ। ডাক্তারিও কিছুটা জানেন।
প্রথমে দক্ষিণেশ্বরে আসেন সুরেশ দত্তর সঙ্গে। শুধু নাম শুনেছেন, কোথায় দক্ষিণেশ্বর তা জানেন না। পায়ে হেঁটে চলেছেন। চলেছেন তো চলেছেনই। শেষে একজন লোকের দেখা পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "দক্ষিণেশ্বর কোথায় বলতে পারেন?"
লোকটি অবাক্। "সে কি মশাই, দক্ষিণেশ্বর যে ছাড়িয়ে এসেছেন।” অনেক ঘুরে ঘুরে তাঁরা দক্ষিণেশ্বরে এলেন। কিন্তু এসে শুনলেন ঠাকুর নেই, চন্দননগরে গেছেন।
জিজ্ঞেস করলেন তাঁরা, "কবে ফিরবেন ঠাকুর?"
জবাব দিল একজন, "কবে ফিরবেন ঠিক নেই, তোমরা আর একদিন এসো।"
সে কথা শুনে বসে পড়লেন দুজনে। হেঁটে ফিরে যাবেন সে ক্ষমতাও নেই। এত কষ্ট করে এসেও দেখা হল না ঠাকুরের সঙ্গে!
এমন সময় অবাক্ কাণ্ড! কে একজন হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাঁদের ঘরের ভেতর থেকে। হ্যাঁ ঐ তো ঠাকুর!
দুর্গাচরণ আর সুরেশ দত্ত ঢুকে পড়লেন ঠাকুরের ঘরে। তক্তাপোষের ওপর পা ছড়িয়ে বসে আছেন ঠাকুর।'
ভক্তঅন্ত প্রাণ ছিল তাঁর। ভালোবাসাই ছিল তাঁর মন্ত্র। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রাণের ঠাকুর। চরম রূঢ় স্বভাবের মানুষও যদি তাঁর সামনে আসেন, তাঁর চোখ থেকেও ভক্তিভাবে অশ্রু ঝরে পড়ত। মানুষকে তিনি ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। স্বয়ং মা কালী যেন ঠাকুরের মধ্যে দিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে গেলেন তাঁর ভক্তদের সাথে।
গদাধর থেকে কীভাবে তিনি হয়ে উঠলেন শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, তার কাহিনি ফুটে উঠেছে "যুগাবতার রামকৃষ্ণ" বইটিতে। ঠাকুরের জীবনকেন্দ্রিক উপন্যাস এটি। এই উপন্যাসের পাঠের মধ্য দিয়ে পাঠকের মন যেন এক পবিত্র ভাবের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি