কাবাক্রব্যাদ
পুষ্পেন মণ্ডল
বিশেষ মুহূর্তে মন্ত্রের মাধ্যমে উচ্চারিত নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের ধ্বনি, তরঙ্গের আকারে যে-কোনো প্রাণীর মস্তিষ্ককে জড়বস্তুতে পরিণত করতে পারে, তাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা থেকে মস্তিষ্কের মধ্যে রক্তক্ষরণ বা দুরারোগ্য ব্যাধির মাধ্যমে তাকে হত্যা করা, দীর্ঘ সময়ের জন্য নিজের শরীরের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনগুলিকে আটকে দেওয়া, ভবিষ্যৎ দর্শন, এ সবই সম্ভব। শুরু হয়েছে সেই আদিম তন্ত্রের দেবতা 'কাবাক্রব্যাদ'কে জাগিয়ে তোলার খেলা। কে জিতবে সেই খেলায়? আদিম তন্ত্রগুরু, না আধুনিক বিজ্ঞান? একটি ছোট্ট মেয়ে কীভাবে হয়ে উঠল সেই যজ্ঞের আহুতি?
মানস সরোবরে যাওয়ার জন্য লিপুলা-পাস পেরিয়ে তিব্বতে প্রবেশ করলে প্রায় সবুজ বিহীন বিস্তীর্ণ রুক্ষ প্রান্তর পড়ে, যেটার গড় উচ্চতা প্রায় ১৪ হাজার ফিট। সেখান থেকে মানসের হ্রদ প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তরে। তার বাঁয়ে আছে 'ভয়াল রাক্ষসতাল'। স্থানীয় যাযাবরদের মতে রাক্ষসতালের নীচে থাকে সিরিঞ্জুরা। কারা এরা? এখনও কোনো প্রাণী বিজ্ঞানী নাকি এদের সনাক্ত করতে পারেননি। যারা নিজের চোখে দেখেছে, বেঁচে ফেরেনি। কেউ বিশ্বাস করে, কেউ করে না। অনেকে বলেন মানুষের অনেক আগে পৃথিবীর বাইরে থেকে এসেছে এরা। কিন্তু তারা কি এখনও আছে?