কালপ্রবাহ
রাজর্ষি যশ
হঠাৎ একদিন সকালে উঠে রাজেশ দেখে যে জীবনের অতীত অনেকটাই বদলে গিয়েছে! প্রথমে তার মনে হয়েছিল কয়েকটা জামাকাপড় বা প্রসাধনী বদলেছে, কিন্তু যত সময় যেতে লাগল তত বুঝল পোশাক, প্রসাধনী না, জীবনের অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে তার, এই এক রাতে।
সুজিত জীবনে সব হারিয়ে ফেলেছে। অহংকারের এক আঘাতে ভেঙে গিয়েছে নিজের হাতে বানানো ব্যান্ড, তার থেকে দূরে চলে গিয়েছে তার প্রেমিকা, বন্ধু বলে পাশে কেউ নেই তার।
রাজেশ আর সুজিত দুই আলাদা আলাদা জীবনের গল্প। কিন্তু তারা এক গল্পে কেন? কী যোগাযোগ তাদের মধ্যে?
যোগাযোগ আছে। আমরা সবাই এক সূত্রে বাঁধা— ‘সময়’।
বিজ্ঞানীরা বলেন, ১৪ বিলিয়ন বা চোদ্দশ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাং হয়েছিল আর তার পর সৃষ্টি হয়েছে এই স্থান, কাল বা পাত্র। সেই স্থান আর কালের প্রবাহ ততদিন ধরে চলছে। আমরা পাত্র হয়ে তার এক ক্ষুদ্রতম অংশের ভাগীদার হই। রক্ত মাংসের এই শরীরের উপর সময় তার উপস্থিতি বুঝিয়ে দিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলেন যাদের ভর আছে, তারাই সময়কে অনুভব করতে পারে। তাই সশরীরে সময়কে উপেক্ষা করার উপায় নেই। তাহলে শরীরহীন সত্তা কি পারে কাল প্রবাহের চিরন্তন নিয়ম খণ্ডন করতে?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি