কানানগণ
শাহযাদ ফিরদাউস
কানানগণ উপন্যাসের মূল বিষয় ভ্রাতৃহত্যা। ভ্রাতৃ নিধনের কাহিনি মানব সভ্যতার প্রারম্ভকাল থেকে বলা-লেখা শুরু হয়েছে এবং আশঙ্কা হয় আরো বহুকাল ধরে লিখে যেতে হবে। কিন্তু কেন? কারণ মানুষ কারো ভাই কিংবা বোন হতে পছন্দ করে না। মানুষ পরস্পর পরস্পরের শত্রু হতে চায়, একে অন্যকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। অথচ একে অপরকে নিশ্চিহ্ন করার অর্থ নিজেই নিজেকে নিধন করা- এই প্রাথমিক জীবন বোধটুকু মানুষ আর তার সভ্যতা অদ্যাবধি অর্জন করতে পারেনি। কেন পারেনি? পারেনি তার সহজ উত্তর হলো, সীমাহীন লোভ। লোভ মানুষের দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেয়।
আমরা যদি নিজেদের অভ্যন্তরের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, আমাদের সমগ্র অন্তর জুড়ে আছে ঈখা হিংসা আর ঘৃণা। যদি একই ভাবে আমরা ভেতর ছেড়ে বাইরে তাকাই তাহলে দেখব রাশিয়া-ইউক্রেনের রক্তাক্ত যুদ্ধ, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের গণনিধন। মানুষের অন্তরে যখন ভ্রাতৃত্ববোধের অভাব ঘটে তখন শুরু হয় দাঙ্গা যুদ্ধ রক্তপাত। রক্ত পিপাসু মানুষের ভাই থাকে না, বোন থাকে না, আত্মীয়তার বন্ধন থাকে না, থাকে শুধু লোভ, অনিবার্য লালসার বিকার। "কানানগণ ভ্রাতৃত্বের বন্ধনহীন এক রক্তাক্ত পৃথিবীর কাহিনি। একইসঙ্গে বলা যায়, রক্তাক্ত পৃথিবীর পথে হাঁটতে হাঁটতে প্রিয়তম ভাইদের অন্বেষণ।
দুই ভাই, স্বপ্নে দেখা বাবার পুরোনো সিন্দুকের দখল নিতে তারা মুখোমুখি হয় একে অপরের। তারা হত্যায় মাতে। ভাইয়ের হাতে রক্তাক্ত হয় ভাই। কিন্তু মরে না কেউই। রক্ত মেখে ফিরে আসে আবার। পুনরায় একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। আবার আঘাত। আবার রক্ত। মৃত্যুকে দূরে রেখে আবার চোখে চোখ রাখে দুই ভাই। রাত ফুরিয়ে আসে...
এক অদ্ভুত টানাপোড়েন চলতে থাকে উপন্যাসের পাতায় পাতায়। রাত ফুরিয়ে আসে তবু খুঁজে পাওয়া যায় না সেই সিন্দুক। কখনো কোদাল কখনোবা শাবল- অন্ধকারের বুক চিরে চলে অধিকারের লড়াই ... কিন্তু কোথায় তার শেষ? জানতে হলে পড়তে হবে sahajad Firdous এর নতুন উপন্যাস ' কানানগণ '।
লেখক পরিচিতি :
জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০। প্রথম জীবনে কবিতা লিখতেন, তারপর সিনেমার বিষয়ে উৎসাহী হন এবং বেশ কিছু তথ্যচিত্রসহ 'তথাগতা নামে গৌতম বুদ্ধের জীবনের ওপর ভিত্তি করে একটি হিন্দি কাহিনিচিত্র তৈরি করেন।
ব্যাস উপন্যাসের মাধ্যমে নতুন করে তাঁর সাহিত্যযাত্রার শুরু। এ পর্যন্ত কুড়িটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র ছাড়া ও তিনি সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতার রুশ দূতাবাসের সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত সাহিত্য সংস্থা 'প্রগতি সাহিত্য সংবাস'-এর সম্পাদক। শাস্তি সংগঠন কলকাতা পীস মুভমেন্ট' এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। শান্তিপূর্ণ জীবনের শিক্ষা দেওয়া ও নেওয়ার প্রতিষ্ঠান 'পীস্ স্কুল' এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি