কায়াহীন (ভৌতিক কাহিনির সংকলন)
লেখক : তীর্থপ্রতিম দাশ
কালিম্পঙের কাছে সাংসেতে এখনও একটি পরিত্যক্ত দুতলা বাড়ীর আশেপাশে উড়ে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে নরমাংসভোজী কাক। দিনে দুপুরেও ওই বাড়িটি থেকে স্থানীয় একটি বাচ্চাদের স্কুলে যাবার পথটি মাড়ায় না কেউ। কী এমন ঘটেছিল সেই বাড়ীতে, আর স্কুলে? মুম্বাইয়ের এপার্টমেন্টে গভীর রাতে ঘুম ভেংগে লিম্পা দেখে, ঘরের অন্ধকার কোণে সোফায় যে অবয়বটি বসে আছে, কোনো অর্থেই সে জীবন্ত মানুষ নয়। মাঝে মধ্যেই ফোন আসে তার কাছে, অথচ অপর প্রান্তে কোনো কথা শোনা না গেলেও একটি মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি আর লোকজনের কোলাহল শোনা যায়। কে সেই ব্যক্তি, যে ক্ষতি করতে চায় তার? শিলংয়ের কাছে উমিয়ামে পাহাড়ের খাদের ধারে দাঁড়িয়ে আছে একটি ন্যাড়া গাছ, পশুপাখিও যার ধার ঘেঁষে না। স্থানীয় আদিবাসীরা নাকি অনেক বছর আগে প্রকৃতির এক শক্তির আবাহন করেছিল ওই গাছে; কী হয়েছিল তারপর? সিকিমের পাহাড়ের জঙ্গলে চাঁদনী রাতে মিলিত হয় এক ভয়ংকর সম্প্রদায়; অন্য সময় সাধারণের ভিড়ে মিশে থাকে তারা। মানুষের মাথা কেটে নেওয়া তাদের উপাসনার অঙ্গ। জানেন কি, তাদের কোনো নাম হয় না; শিসের সুরেই একে অপরকে ডাকে তারা? আর, হিমাচল প্রদেশের ধুঙরি গ্রামের পাহাড়ী জঙ্গলের গভীরে একটি ছোট্ট বিগ্রহহীন মন্দিরের সামনে বসে থাকে এক তরুণী, তার কাছে যাওয়া বারণ। সেই জঙ্গলে বিশেষ বিশেষ রাতে দেখা যায় এমন দুইজনকে, যাদের উল্লেখ আছে মহাকাব্যে। সেখানে এক নির্জন বাংলোয় উপন্যাস লিখতে আসেন একজন লেখক। শেষ পর্যন্ত কী হল তাঁর? এমনই সব ভৌতিক কাহিনীর সম্ভার নিয়ে এসেছে চারটি উপন্যাসিকা ও একটি উপন্যাসের সঙ্কলন, কায়াহীন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি