খোঁজ
বসন্ত লস্কর
অলংকরণ ও প্রচ্ছদ : দেবাশিষ সাহা
‘মহাভারতের কথা’ যেন বিশাল ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের ভেতর একটি ভ্রমণ৷ গল্প গল্পাভাস নাটকীয়তা চরিত্রবর্ণনার বয়ানে ঘোষণাহীন প্রখরতায় উজাড় করে দিতে চায় মূল ভারতকথা৷ এখানে কিছু বলতে চাইছেন না লেখক অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ চরিত্রগুলির বহুস্বরের ভেতর থেকে অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান, হিউম্যান সারভাইভালের নিরাসক্ত আশ্বাসের সমোত্তলে উঠে আসতে পাঠকের প্রতি আছে নিশ্চুপ আহ্বান৷ আসুন পাঠক, আমরা পাঠ করি ‘মহাভারতের কথা’৷
-----------------
'তোর মায়ের চরিত্রের কোনো দোষ ছিল না, বাবা উপযাচক হয়ে জানিয়েছিল তখন শানু সেই সবে হোস্টেলে বড়দের কাছে হস্তমৈথুনের প্রথম পাঠ নিয়েছে।'
শৈশবে মাকে হারানো শানু জীবনের মধ্যভাগে পৌঁছেও অপেক্ষায় থাকে মায়ের। চিরকুট লিখে তাঁর দুধের বাটি দিয়ে চাপা দিয়ে তাঁর মা সেই কবে বাড়ি ছেড়ে ছিল তারপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। শানুর বাবা কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো থেকে আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি বাড়ি ঘোরা কোনো কিছুই বাদ রাখেনি। আজও শানুর বাবা যেমন তাঁর স্ত্রী সুতপার ফিরে আসার অপেক্ষা করে তেমনি অপেক্ষা করে শানুর বৃদ্ধা দিদু ও তার মেয়ে ফুটকিও। তাঁদের সেই অপেক্ষা কি কোনোদিন শেষ হবে? টান টান রহস্যে মোড়া এক নিরুদ্দেশের উপাখ্যান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি