খয়েরি ফিতের ফাঁস
দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ -কুশল ভট্টাচাৰ্য
কলকাতায় শ্যুটিং করতে এসে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান বলিউড তারকা ওয়াসিম খান। তদন্তে নেমে সে রাতেই লেকটাউন অঞ্চলের এক আবাসনে পৌঁছন স্থানীয় থানার ওসি অদিতি সাধুখাঁ। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আততায়ীর৷ কিন্তু আবাসনের পরিবেশ ও এক আবাসিকের একটি মন্তব্য উস্কে দিতে চায় অদিতির শৈশবের স্মৃতিকে।
ওয়াসিমের মৃত্যুকে ঘিরে হৈচৈ শুরু হতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিশানা করতে শুরু করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কেন?
এদিকে দৈনিক সংবাদপত্র 'আজ সমাজ' এর সাংবাদিক ধৃতিমান একটি অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে কিছুদূর এগোতেই আচমকা হুমকি ও শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়! ধৃতিমান বুঝতে পারে না ঠিক কোন কারণে তাকে তার কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। তার সঙ্গে আলাপ হয় অভিনেত্রী ইমনের। তার বাবা ছিলেন একজন চিত্রসাংবাদিক। বাবার তোলা অসংখ্য ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী করতে চায় ইমন। সেই সূত্রেই ধৃতিমানের সাহায্য চায় সে। ইমনের বাবার ফটো অ্যালবামে এক চাঞ্চল্যকর সূত্র খুঁজে পায় ধৃতিমান। ত্রিশ বছর আগের একটি ঘটনা, যা বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে, হঠাৎই ওয়াসিম খানের মৃত্যু যেন সেই ঘটনার স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলতে চায়।
এসবের পাশাপাশি আজ সমাজের অফিসে আভ্যন্তরীণ রাজনীতিরও পটপরিবর্তন হতে থাকে। আর্থিক সংকটের মুখে পড়া সংবাদপত্রটি কি নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে? তার জন্য কোথায়, কীভাবে আপস করতে হবে তাকে? কেউ কি এগিয়ে আসবে তার পরিত্রাতা হয়ে?
এক মহিলা পুলিশ অফিসার, এক ক্রাইম বিট সাংবাদিক, এক অভিনেত্রী, রাজনীতির ময়দানের দুই যুযুধান, একটি সংবাদপত্র এবং ত্রিশ বছর আগেকার এক হত্যাকাণ্ড! সবই কি এক সূত্রে বাঁধা? যদি তা হয়ে থাকে, তবে কীভাবে, কেন?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি