কবিতাসংগ্রহ : বিশ্ব মণ্ডল
ভূমিকা : কালীকৃষ্ণ গুহ
প্রচ্ছদ : শুভদীপ সেনশর্মা
'গত শতকের আশির দশকে কফি-হাউসের টেবিলে বিশ্বকে প্রথম চিনেছি। বলতেই হবে, সেই টেবিলের কেন্দ্রে থাকতেন পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল, যিনি তাঁর 'দেবী' কাব্যগ্রন্থটি নিয়ে আবির্ভাবের দিন থেকেই একজন অগাধ ব্যক্তিত্বের স্থান নিয়ে অবস্থান করছিলেন বাংলা কবিতার জগতে। পার্থপ্রতিমকে ঘিরে যাঁরা থাকতেন তাঁদের মধ্যে সেদিন বিশ্ব ছিলেন বোধহয় তরুণতম। বিশ্বর কোনো বিশেষ গৌরব ছিল না সেদিন। তিনি ছিলেন নীরব এক সদস্য। তিনি প্রতিটি কথা শুনতেন, বুঝতে চাইতেন, বুঝতে পারতেন, চিন্তা করতেন, কিন্তু বিশেষ কথা বলতেনা না। তাঁর কাছ থেকে নীরবতার দীক্ষা নেবার ছিল, যা ছিল বস্তুত আত্মসংযমের দীক্ষা। কিন্তু বিশ্বর কবিতার বই হাতে আসার পর চমকে উঠতে হল! চমকে উঠতে হল যেহেতু তাঁর মনের তল পাওয়া সহজ ছিল না। ১৯৮৭ সালে তাঁর প্রথম পুস্তিকাটি প্রকাশিত হবার পরেই বোঝা গেল একজন কবির আবির্ভাব ঘটেছে। পুস্তিকাটির নাম জন্মের কথা। বারবার 'জন্মের কথা' শিরোনামে কবিতা লিখেছেন তিনি। কেন, তার উত্তর খোঁজা বৃথা। বিদ্যাবত্তা বা সংস্কৃতির গৌরব ছিল না তাঁর পশ্চাৎপটে। তবু তাঁর কবিসত্তার উত্থান ঘটেছিল অস্তিত্বের শিকড় নিয়ে, আত্মপ্রশ্ন নিয়ে, অবচেতন নিয়ে, চেতনার প্রান্তিক সব উদ্ভাস নিয়ে।'--কালীকৃষ্ণ গুহ
এই খণ্ডে যা রয়েছে :
জন্মের কথা
অথবা জানা হয়নি
সূর্যাশাসিত এ নভোমণ্ডল
অথবা ২৫শে বৈশাখ
একা আমি সে... বা তাদের কথা
যে আঁধার নেভে না কখনো (অগ্রন্থিত) হলফনামা (অগ্রন্থিত)
ভাঙা জানালা... হলুদ পাতা (অগ্রন্থিত)
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি