মরণের ডঙ্কা বাজে

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

মূল্য
₹199.00
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

মরণের ডঙ্কা বাজে 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

মরণের ডঙ্কা বাজে উপন্যাসের উপজীব্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ববর্তী সময়ে চীনের জনগণের ওপর জাপানিদের আক্রমণ। দুই ভারতীয় বেকার তরুণ বিমল ও সুরেশ্বর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর গিয়ে জাপানি হামলায় আহত চীনের জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পায়। জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও তারা এই সুযোগে সাড়া দেয় মূলত তারুণ্যের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের উৎসাহে ও নতুন দেশ ভ্রমণের আগ্রহে। কিন্তু রণক্ষেত্রে গিয়ে যে-পরিস্থিতির শিকার তারা হয় তা যেমন ভয়াবহ তেমনি কল্পনাতীত। রণক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যু তাদের তাড়া করে। এ উপন্যাসে বিমল ও এ্যালিসের মধ্যে যে মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার অপাপবিদ্ধ নিষ্কলুষ বৈশিষ্ট্যটিও তাৎপর্যপূর্ণ। মার্কিন তরুণী এ্যালিসের যুদ্ধাক্রান্ত চীনা জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়া কিংবা নিজ সম্পদ দুস্থদের কল্যাণে ব্যয় করার আগ্রহের মধ্যেও রয়েছে তীব্র মানবিক প্রেরণা। উপন্যাসের পরিসমাপ্তি-অংশের ব্যঞ্জনাও লক্ষণীয়। উপন্যাসের শেষ দৃশ্যটির পটভূমিতে রয়েছে একটি মন্দির। যুদ্ধের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্যে এক তরুণ তার অনেকদিনের বাগদত্তা মেয়েটিকে বিয়ে করার পর নববধূসহ আসে এই মন্দিরে। দুজনেই জানে যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছেলেটির ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ এবং চীনের সম্ভ্রান্ত সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলনও নেই। এসব সত্ত্বেও দুজনেরই মুখে হাসি-আনন্দের প্রশান্তি। মন্দির চত্বরে এদের দুজনকে ঘিরে প্রফেসর লী, বিমল-এ্যালিস সুরেশ্বর-মিনির আশীর্বাদ ও আনন্দের পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে উপন্যাসটি শেষ হয়।ব্যক্তির আনন্দ-বেদনা-স্বার্থ কোনোভাবেই মুখ্য হতে পারে না, সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ, মানুষের কল্যাণ। সর্বমানবের মঙ্গলের লক্ষ্যেই শেষ দৃশ্যে এই ব্যক্তিবর্গ নিজেদের উৎসর্গ করে। এমনকি বিমল-এ্যালিস-সুরেশ্বর-মিনি এরাও দেশের সীমা ডিঙিয়ে ধর্ম-বর্ণ-জাতির ভেদ ভুলে হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিকতাবাদী।

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

সংশ্লিষ্ট বই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি