হোয়াইট কলার পাব নয়, বরং ব্রাউন কলার শুঁড়িখানায় আর নিম্নবর্গের ময়দানে তৈরি হয় যে সব গল্পকথা। তাতে গোর্কির ‘নিচের মহল’কে মনে পড়িয়ে দেওয়া সমাজের প্রান্তিক মানুষেরা থাকেন, যাঁরা হিসাবের ঘর্মাক্ত কড়ি দিয়ে কেনা মদের শেষ ফোঁটাটুকুও গেলাস উপুড় করে গলায় ঢেলে নেন। থাকে অদ্ভুত কিছু চরিত্র, চেনা পৃথিবীর ছকে যাদের বেঁধে ফেলা দুষ্কর। আর রয়ে যান সে সব মদ্যপূজারী কবি ও শিল্পীরা, যাঁরা এই সাবঅল্টার্ন আবহেই চিরকাল অ্যাট হোম অনুভব করেছেন। অলি পাবে বসে তাঁরা “আমার খালাসিটোলাই ভালো” বলে হুহুক্কার দিয়ে ওঠেন।
বিহার থেকে আসা শ্রমজীবী মানুষজন সপরিবারে রোববারের ময়দানে এককুচি সপ্তাহান্ত খোঁজেন রামকথা, বীরহা গান বা মাদারির খেলায়। সুলেমান থাকেন, শাজাহান থাকেন, মুমতাজও। আর কোনও কবিকে হত্যার সাক্ষী হয়ে নীরবে বেঁচে থাকে ময়দানের আরেকটি প্রান্ত।
হিরণ মিত্রর ছবিতে শানানো রাহুল পুরকায়স্থর ধারালো গদ্যসংগ্রহ। একটু নেশাতুর, কিন্তু অসংলগ্ন নয়। প্রায়শই মায়াবী, কিন্তু কল্পিত নয়। অধুনালুপ্ত ছোট্ট বইটি দুটি নতুন লেখা এবং বেশ কিছু নতুন আঁকা নিয়ে একেবারে নতুনভাবে পুনর্নির্মিত হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.