নতুন তথ্যের আলোকে অপূর্ব্বসতী
সম্পাদনা : হরিপদ ভৌমিক
প্রচ্ছদ : শুভঙ্কর মাজি
বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের প্রথম মহিলা নাট্যকার এবং প্রথম অভিনেত্রী গোলাপসুন্দরী ওরফে সুকুমারী দত্তের লেখা নাটক 'অপূর্ব্বসতী' প্রকাশের ১৫০ বছরকে সামনে রেখে একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য...
---------------
“…১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দে ৭ ডিসেম্বর তারিখে ‘ন্যাশনাল থিয়েটার’- এর যাত্রা শুরু। তখন পর্যন্ত রঙ্গমঞ্চে নারী চরিত্রে পুরুষেরা অভিনয় করতেন। মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রস্তাবে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে ১৬ আগসট ‘বেঙ্গল থিয়েটার’-এ নারী চরিত্রে নারীদের নিয়ে অভিনয় শুরু করা হয়। অভিনেত্রীদের সকলকেই নিষিদ্ধপল্লী থেকে আনা হয়েছিল। এই নিয়ে সমাজে তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ভদ্র ঘরের ছেলেরা বেশ্যাদের সঙ্গে অভিনয় করলে - এরা খারাপ হয়ে যাবে!
অভিনেত্রীদের মধ্যে গোলাপ সুন্দরী নামে একটি মেয়ে ছিল। তার মা পতিতা হলেও, সে ছোটবেলা থেকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত হয়ে নিজের সতীত্বকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজের মায়ের সঙ্গে লড়াই করেছিল। জীবনসংগ্রামে জয়ী হয়ে, নিজেকে ‘অপূর্ব্ব সতী’- বলে দাবী করতেন।
এই মেয়েটিকে নিষিদ্ধপল্লী থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্ম যুবকরা শিবনাথ শাস্ত্রীর আশ্রয়ে থাকেন এবং এখান থেকে নাট্যমঞ্চে আসে। নিষিদ্ধপল্লীর কন্যা হয়েও, ব্যতিক্রমী ‘অপূর্ব্ব সতী’ যখন পাওয়া গেল, তখন বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহ আন্দোলনে উৎসাহী যুবক সমাজ সংস্কারক উপেন দাস – অভিনেতা গোষ্ঠ বিহারী দত্তকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন - গোলাপ নিষিদ্ধপল্লীর মেয়ে হলেও শিক্ষিতা এবং সত্যি সত্যিই ‘অপূর্ব্ব সতী’।…”