নির্বাসন
আত্মজীবনী সপ্তম খণ্ড
তসলিমা নাসরিন
প্রথমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বৈরীভাব সৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কা দেখিয়ে এবং পরে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মূল্যবোধে আঘাত করা হয়েছে এই অপরাধের ভিত্তিতে তাঁর আত্মজীবনীর তৃতীয় খণ্ড 'দ্বিখণ্ডিত' পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এক বছর ন'মাস ছাব্বিশ দিন নিষিদ্ধ থাকার পর হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পেয়েছে সে বই। দুই বাংলায় এই বইয়ের (পশ্চিমবঙ্গে 'দ্বিখণ্ডিত', বাংলাদেশে 'ক') বিরুদ্ধে মোট একুশ কোটি টাকার মামলা রুজু হয়েছে তাঁর সতীর্থ লেখক দ্বারা।
তসলিমা নাসরিন প্রচুর পুরস্কার এবং সম্মান অর্জন করেছেন। এর মধ্যে আছে ইওরোপীয় সংসদ থেকে মুক্তচিন্তার জন্য শাখারভ পুরস্কার, সহিষ্ণুতা এবং শান্তি প্রচারের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার, ফরাসি সরকারের মানবাধিকার পুরস্কার, ধর্মীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ফ্রান্সের এডিট দ্য নান্ত পুরস্কার, সুইডেনের লেখক সংস্থা থেকে কুট টুখোলস্কি পুরস্কার, জার্মানীর মানববাদী সংস্থার আরউইন ফিসার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম ফ্রম রিলিজন ফাউন্ডেশন থেকে ফ্রি থট হিরোইন পুরস্কার এবং বেলজিয়ামের গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি লোকেইন থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট। তিনি আমেরিকার হিউম্যানিস্ট অ্যাকাডেমির হিউম্যানিস্ট লরিয়েট। ভারতে দুবার পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার 'নির্বাচিত কলাম' এবং 'আমার মেয়েবেলা'র জন্য। ইংরেজি, ফরাসি, ইতালীয়, স্পেনীয়, জার্মান সহ পৃথিবীর তিরিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তসলিমার বই। মানববাদ, মানবাধিকার, নারী-স্বাধীনতা ও নাস্তিকতা বিষয়ে তিনি পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড়াও বিভিন্ন বিখ্যাত মঞ্চে দেড় যুগেরও বেশি হল বক্তৃতা দিচ্ছেন। মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে তিনি সারা বিশ্বে একটি আন্দোলনের নাম।
তাঁর নিজের দেশ বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হবার পর তিনি ভারত থেকেও নির্বাসিত হয়ে যাযাবরের জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছেন পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে। নিজের ভাষার দেশে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও ভারতে অবস্থান করার অনুমতি পেয়েছেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি