পাঁচমিশেলি
দিলীপ দত্ত
প্রচ্ছদ : সুবর্ণা ঘোষাল
‘পাঁচমিশেলি’ দিলীপ দত্তের নবম বই। বড় গল্প, ছােট গল্প, অণু গল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী সব মিলিয়ে এক রাজসিক আয়ােজন। অধিকাংশই অবয়বে নাতিদীর্ঘ। যদিচ তাৎপর্যে সমুদ্রগাভীর। যেমন, বান্ধবগড়ের অরণ্যানীর আলােছায়ার চিত্রপ্রতিমায় তিনি ইতিহাসের দীর্ঘ আখ্যানকে যেভাবে সরলতার লতাপাতায় বিছিয়ে দিয়েছেন, তা এক কথায় বলা যায় বিস্ময়াবহ। ভাষাও যেন ঝর্ণাধারার মতই ঝরঝরে- ‘চনমনে সকালের চোখ ধাঁধানাে রােদ এসে পড়েছে ঘন কালচে-সবুজ শালবনের চন্দ্রাতপর ফাঁকফোঁকর দিয়ে ।গাছের পাতার ভিতর থেকে সূর্যকিরণের ছটা প্রতিফলিত হয়ে গাছের উপরের অংশকে একটা সােনালি আস্তরণে ঢেকে ফেলেছে। গাছ-গাছালির ছায়া সুনিবিড়। সিগ্ধতার জন্য প্রখর শীত তেমনভাবে গায়ে লাগছে না। জঙ্গল এমন ঘন যেন কেউ মাথার উপর সবুজ পাতার ছাদ বুনে। দিয়েছে।
ভারতীয় পুরাণের নবনির্মাণে দিলীপবাবুর কব্জির জোর টের পাওয়া যায় ‘ভীম। ও ঘটোৎকচ’ গদ্যের বিন্যাসে। নাটকীয়তা আর গল্পরসের গাঁটছড়া অনবদ্য। স্নেহধন্যা কুইনীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক যতটা স্পষ্ট, অস্পষ্টতা তার চেয়ে অনেক বেশি। এ এক নতুন আলাে।।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি