পল্লির পদাবলি
অশোককুমার কুণ্ডু
আজ যদি বিভূতিভূষণ বেঁচে থাকতেন? এবং তিনি গ্রাম ও অরণ্য নিয়ে কী লিখতেন? তাতে কি ধর্ষন, শ্রেণীশত্রুর রক্ত, বর্গার কাটা মুন্ডু, রাজনৈতিক এলাকা দখলের শোনিত-লাভা গড়াত তাঁর মরমী বর্ণমালায়, পেলব বাক্যে ও মধুময় পৃষ্ঠায়? কী করতেন এই পরিবর্তিত গাঁ-গঞ্জ নিয়ে পথের কবি। জানা নেই।
গ্রাম, যে গাঁ পরিবর্তিত নগর গড়ানে সভ্যতায়, সে গ্রাম এখন বৃহৎ পুঁজির স্বর্ণ-মৃগয়া-ক্ষিতি। সংবাদপত্রের এখন রুরাল এডিশন এবং তা সূর্যোদয়ের পূর্বে গেরোস্তের বারান্দায় পৌঁছানোর জন্য খবরের কাগজের অফিস, মুদ্রণ বিভাগ বসেছে, দেড় দু'-দশক হল। বৈদ্যুতিন কর্মীরাও ব্যস্ত হিংসাক্রান্ত আলপথের, ইদাড়ে-পাঁদাড়ে। গ্রাম এখন প্রভূত আগ্রহের বিষয়, এমনকি সৃষ্টিধর্মী লেখাতেও।
এ গ্রন্থে যেমন শরৎবাবুর চন্ডীমন্ডপের বজ্জাত গ্রামের কথা আছে, যতীন্দ্রমোহন বাগচির 'ওই যে গাঁ-টি যাচ্ছে দেখা আইরই ক্ষেতের আড়ে.........' গ্রামও। বাদ পড়েনি রাজনৈতিক চাপান সারের গ্রামও।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.