প্রাণকুমারের স্মৃতিচারণ
প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনা : অদিতি ভট্টাচার্য
তন্ত্রসাধক শ্রীপ্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯৫-১৯৭১) বাংলা সাহিত্যে একটি সুপরিচিত নাম। তাঁর 'তন্ত্রাভিলাষীর সাধুসঙ্গ', 'হিমালয়ের পারে কৈলাশ ও মানস সরোবর' ইত্যাদি গ্রন্থ বাঙালি পাঠকের কাছে সুবিদিত। তন্ত্রের গূঢ়রহস্য ও আধ্যাত্মিক সত্যের অনুসন্ধানে তিনি ভারত ও তিব্বতের বহু অঞ্চল ঘুরেছেন- তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতার ফসল তাঁর তন্ত্রবিষয়ক গ্রন্থগুলি। কিন্তু এই পরিচয় ছাড়াও তাঁর আর একটি পরিচয় রয়েছে- তিনি ছিলেন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী। মূলত অবনীন্দ্রনাথের বাংলা ঘরানার চিত্রশিল্পী হলেও তাঁর আঁকা ছবিগুলি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও অনন্যতায় সমুজ্জ্বল। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকী ইউরোপেও তাঁর আঁকা ছবি সমাদৃত হয়েছে। শেষজীবনে ১৭টি বছর তিনি পন্ডিচেরির শ্রীঅরবিন্দ আশ্রমে ছিলেন- তাঁর আঁকা কিছু ছবি শ্রীমায়ের বিশেষ প্রশংসা লাভকরেছিল। তাঁর আঁকা চিত্রগুলিতে আধ্যাত্মিক বাজনা বিশেষভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। বর্তমান প্রন্থটিতে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথম দিকের জীবন কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। আত্মজীবনীমূলক এই রচনাটিতে সমকালীন সমাজের একটি অপরূপ রূপরেখা চিত্রিত হয়েছে, বিশেষত যে সুনিপুণ দক্ষতায় তিনি বাক্তি চরিত্রগুলি চিত্রিত করেছেন তা তাঁরা শিল্পী মনের পরিচয় বহন করাছে। গ্রন্থটিতে প্রকাশিত তাঁর জীবনের পরবর্তী প্রথম ৩২/৩৩ বছরের বিচিত্র কাহিনি পাঠককে কৌতূহলী করে তোলে তাঁর জীবনের পরবর্তী পর্যয়কে। জানতে- এটিই এই গ্রন্থটির বিশেষত্ব।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি