রবীন্দ্রনাথের শিল্পবোধ
শশিভূষণ দাশগুপ্ত
শিল্পীর শিল্পবোধের অনুসন্ধান চলতে থাকে তাঁর জীবনব্যাপী শিল্পসৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। কখনো কখনো শিল্পের প্রয়োজন-ই একমাত্র শিল্প সৃষ্টির কারন হয়ে দাঁড়ায়। যাকে আলংকারিক ভাষায় কলাকৈবল্য বাদ বলা হয়ে থাকে। রবীন্দ্রনাথের লেখনীতে কোথাও কোথাও কলাকৈবল্য বাদ যেমন এসে পড়েছে তেমনই নানা সময় নানা দর্শনের প্রভাব-ও পরিলক্ষিত হয়।
আসলে উপনিষদ-কে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠা রবীন্দ্রনাথের শিল্পবোধ। যা তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন তাঁর বড়দা দিজেন্দ্রনাথের সুগভীর বিশ্লেষণাত্মক দর্শন চিন্তা থেকে। সেই একমাত্র সত্য হিসেবে জ্ঞাত রবীন্দ্র সাহিত্য ও শিল্প চিন্তায়।
সেই একের কাছে পৌচ্ছে যাওয়ার সমন্বয়ের শিক্ষাও, তিনি তাঁর বড়দার থেকেই হয়তো পেয়েছিলেন। দিজেন্দ্রনাথ হেগেল-কান্ট থেকে শুরু করে অদ্বৈত, চার্বাক, গীতার মতো নানা দার্শনিক তত্ত্বকে ঘেঁটে দেখে যা উপলব্ধি করেছিলেন, তাই পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনদেবতা’ ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।
নিস্ক্রিয়তাতে বিশ্বাস ছিলনা রবীন্দ্রনাথের। ফলের আশাহীনতাকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠায় বিশ্বাস ছিলনা তাঁর। কিন্তু তাঁর কর্ম তাঁকে কখনোই কেবল জাগতিক আকাঙ্খায় সীমাবদ্ধ করতে পারেনি।
নোবেল প্রাপ্তির পরে পরে সারা বিশ্বের নানা দেশ ঘুরে রবীন্দ্রনাথ লাভ করেন নানা অভিজ্ঞতা। রাশিয়া ভ্রমণ তাঁর কমিউনিষ্ট ভাবনাকেও নতুন রসদ জুগিয়েছিল। যাঁর প্রভাব আমরা তাঁর শেষ জীবনের লেখা গুলোতে উপলব্ধি করতে পারি।
কিন্তু সেই অসীম নিস্ক্রিয় নির্গুনে তাঁর গভীর বিশ্বাস কখনোই তাঁকে স্থূলভাবে বস্তু তাত্ত্বিক করে তুলতে পারে নি।
রবীন্দ্রনাথের শিল্প চেতনাকে নিজ বোধ ও ধারণা দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বিখ্যাত প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক, তত্ত্ব অন্বেষক শশিভূষণ দাশগুপ্ত।
রবীন্দ্রনাথ-কে জানতে উপলব্ধি করতে এমন বিদগ্ধ মানুষের আলোচনা পাঠক সমাজকে নিশ্চিত সমৃদ্ধ করবে, আশা রাখি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি