শান্তিনিকেতনের দিনলিপি (হার্ড বাইন্ডিং)
ক্ষিতিমোহন সেন
ক্ষিতিমোহন সেন যেদিন রবীন্দ্রনাথের ডাকে এক আধো বর্ষার রাতে গিয়ে পৌচ্ছালেন বোলপুরে, স্টেশনে নেমে তিনি শুনতে পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের আর্ত কন্ঠে গেয়ে চলা গান। অদ্ভূত শুরু যেন।
তখন বোলপুর এতটাই ফাঁকা যে রবীন্দ্রনাথের আশ্রমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে গেয়ে চলা গান তিনি শুনেছিলেন স্টেশনের কাছ থেকে। অবিশ্বাস্য লাগে না কেমন? আমারও লেগেছে!
কালের গর্ভে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে বোলপুরের স্নিগ্ধতা, গ্রামকে গ্রাস করছে শহর। লোকে আর বিশ্বভারতী যায় না, আশ্রম ঘোরে না, গ্রাম- কোপাই-অজয় ঘোরার জায়গা হতে পারে বিষ্ময় আজ।
অথচ ভিড় কোথায় সোনাঝুরি!
যে হাট কেবল শনিবার ছিল তা প্রথমে হল রোজ, তারপর একটি নয় তিনটি হাট। আমার স্মৃতির সোনাঝুরির সাথে মিলিয়ে কিছুই ঠাহর করতে পারিনা। হারিয়ে যাই। হঠাৎ দেখি টোটো, চেপে বসি তাতে, ব্যস।
খোয়াই-এর প্রকৃতিও ধ্বংসের মুখে। বড় বড় রেষ্টুরেন্টের দৈনন্দিন আবর্জনা ক্রমশ গ্রাস করছে সোনাঝুরির জঙ্গল। অদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে তা কালের গর্ভে ঠিক সোনাঝুরির লাল মাটির রাস্তার মতোই।
থেকে যাবে কেবল স্মৃতি। আসুন আজকের স্মৃতির সাথে সেদিনের স্মৃতিকে মিলিয়ে দেখি আমরা কতটা এগোলাম।
আসুন সেদিনের শান্তিনিকেতনের স্নিগ্ধতাকে স্পর্শ করি ক্ষিতিমোহন সেনের চোখ দিয়ে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.