সাধক ও সাধনা
ক্ষিতিমোহন সেন
মধ্যযুগের ভারতবর্ষে লোকায়ত দর্শন ও ভাবসম্পদের চর্চা একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। যোগী কবীর, ভক্ত দাদু, সন্ত রবিদাস, গুরু নানক, সাধিকা মীরাবাঈ প্রমুখের অন্তরলোকের যে সুমহান ঐশ্বর্য তাঁদের বাণী-আকারে রয়ে গেছে, তার মূল্যায়ন এবং সেই ভাবজগতকে নিজস্ব আলোকে দেখবার চেষ্টা করেছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। ভারতীয় সংস্কৃতিকে উজ্জ্বল করতে সুফি-সাধকদের বিশেষ অবদান রয়েছে। কবীরদাসের দোঁহা, মীরার ভজন প্রভৃতি ক্ষিতিমোহনের ভাবুক মনকে বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছিল, তাঁকে অনুসন্ধিৎসু ও জিজ্ঞাসু মনের অধিকারী করে তুলেছিল। এ-বইয়ে প্রকাশিত নিবন্ধগুলির ছত্রে ছত্রে ছত্রাকার তাঁর সেইসব জিজ্ঞাসার উত্তর। বেদমন্ত্র থেকে বাউলগান-সত্যের অন্বেষণ কোথাও নিষ্ফল নয়।
বিভিন্ন সাময়িক পত্রিকায় ক্ষিতিমোহনের বহু প্রবন্ধ ইতস্তত ছড়িয়ে আছে। বহু বিচিত্র তার বিষয়বস্তু। তাঁর গ্রন্থিত প্রবন্ধের তুলনায় অগ্রন্থিত প্রবন্ধের সংখ্যা অনেক বেশি। সাধক ও সাধনা পর্যায়ের আলোচনাগুলিকে আপাতত দুই মলাটে ধরবার প্রয়াস।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি