শাম্ব আর সেই নুয়ে পড়া মানুষ
অভিজিৎ দাশগুপ্ত
প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস
খবরের কাগজের নিরপেক্ষতা বলে কি আদৌ কিছু হয়? মিডিয়া কি প্রকৃত অর্থে সাধারণ মানুষের অবস্থা ও অবস্থানের কথা বলতে পারে? নাকি টিকে থাকার জন্য তাদের ভরসা কখনও সরকারি বিজ্ঞাপন, কখনও শাসক দলের হাত যা তাদের কাঁধে থাকবে? সাংবাদিকতা কি তাহলে কোনও সমঝোতা? যে ইতিহাস সময়ের ভেতরে তৈরি হয়ে চলেছে, তার সঙ্গে সঙ্গে থাকার কী হবে তাহলে? কী করে সত্যি কথা বলতে পারবে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কথিত সংবাদপত্র বা মিডিয়া? একজন সত্যিকারের সাংবাদিকের ভূমিকাই বা সেখানে কীরকম? এই সমস্ত প্রশ্ন মিশে রয়েছে এই উপন্যাসের পরতে পরতে। সাংবাদিক শাম্ব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের চলার পথের সঙ্গে চলেছে তার অন্তর্দ্বন্দ্ব, আশা ও নিরাশা। হাজারো খুঁটিনাটি নিয়ে এই লেখায় জেগে উঠেছে একটি খবরের কাগজের অন্দরমহল। তার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এক বিশেষ সময়ের রাজনৈতিক আবহ, আন্দোলন, পালাবদল এবং সেইসব নিয়েও অনেক প্রশ্ন। জঙ্গলমহল, দিল্লিতে বোমা বিস্ফোরণ, নন্দীগ্রামের পরিস্থিতিও উঠে এসেছে সেখানে। একদিকে প্রেমিকা সায়নী, অন্যদিকে কাগজের ম্যানেজিং এডিটর নীলাঞ্জনাকে নিয়ে শাম্বর ব্যক্তিজীবনের সংকট এই উপন্যাসের দিক বদল করে দিতে থাকে নানা মুহূর্তে। এর মধ্যেই শাম্বর স্বপ্নে ঘুরেফিরে আসতে থাকে দীর্ঘ এক প্রান্তর, জিপসিদের দল, মাদারি-কা-খেল, তাদের ফেলে যাওয়া মুখোশ আর নুয়ে পড়া এক মানুষ। সেই মানুষের মুখ শুধুই এক কৃষ্ণগহ্বর। সে হেঁটে চলে অবিরাম। মরুময় প্রান্তর পেরিয়ে যাওয়ার এক দুর্মর প্রয়াসের দিকে যাত্রা এই আখ্যানেরও।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি