তুমি
তানিয়া চক্রবর্তী
প্রেমের কবিতাকে, এই ২০২ সালে এসে ১০বছরের বেশি কবিতা লেখার পর আলাদা করে আর তেমন বিচ্ছিন্ন করতে পারি না। মনে হয় জীবনের সমস্ত কবিতার মধ্যেই কোথাও না কোথাও প্রচ্ছন্ন প্রেম থাকে। এমনকি প্রতিবাদের কবিতার অন্তরেও প্রেমেরই অভিমান থাকে।প্রেম মানে আমি কেবলমাত্র নারী-পুরুষের লিঙ্গভিত্তিক প্রেমকে বলছি না কেবল। প্রেম বলতে মানুষের প্রেম বলছি। প্রকৃত প্রেম আসলেই অন্তরে হয়; এটা বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে বুঝেছি। প্রকৃত প্রেমের জন্য কোনো অবয়ব যুক্ত প্রেমিকের খুব প্রয়োজন নেই। প্রকৃত প্রেম আসলে অন্তস্থ ভাব। এই প্রেম আমরা গোটাজীবনে একবারও করতে পারলে জীবন নিজেই ধন্য হয়ে যায়। যেহেতু রক্তমাংসে গড়া দেহভাবকে বহুদিন মুখ্য জানতাম তাই সেই অবয়বযুক্ত প্রেমদের সঙ্গেও যাপন করেছি। সমস্ত প্রেমিকদের জন্য, যাদের সঙ্গে তথাকথিত সম্পর্ক ছিল, যাদের কেবল একবার দেখে মন ভোলেনি, যাদের কখনো দেখিনি সামনে, যাদের সঙ্গে কখনো প্রেমভাব ব্যক্ত হয়নি, যারা ভুল বুঝেছে, যারা ভুল করেছে, যাদের প্রেম আমি অবধি পৌঁছতেই পারেনি, যাদের প্রেম আমারই মনে বাস করেছে একাকী---সেই সমস্ত প্রেমের প্রতি আমার এই কবিতার বই "তুমি"। এই "তুমি" আসলে কোনো একজন নয়। প্রত্যেক যাপনের "তুমি" দের প্রতি এই আহ্বান। "আমি" ও "তুমি" আসলে একত্রিত যৌগ। মৌলিক থেকে যৌগিক অবধি এই প্রেমের বার্তারা এই বইতে রইল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি